ফাওয়াদ-বাবরের ব্যাটে মানরক্ষা পাকিস্তানের
আবিদ আলি, ইমরান বাট এবং আজহার আলি- পাকিস্তানের তিন টপ অর্ডার। এই তিন টপ অর্ডারের ব্যাট থেকে এসেছে কেবল ২ রান। কিংসটনে পাকিস্তানি ব্যাটিংয়ের মৃত্যু যেন অনেকটাই লেখা হয়ে গিয়েছিল তখন। কিন্তু মিডল অর্ডারে এসে দৃঢ়তার পরিচয় দিলেন বাবর আজম এবং ফাওয়াদ আলম।
এই দু’জনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত শুধু মানরক্ষাই নয়, কিংসটনের স্যাবাইনা পার্কে চলমান টেস্টের নিয়ন্ত্রণও বলতে গেলে পাকিস্তানের হাতে চলে এসেছে। কারণ, পাকিস্তানের করা ৩০২ রানের জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজও শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বসে আছে।
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচটি কিছুদুর এগুলেই বাধা পাচ্ছে বৃষ্টির কারণে। যে কারণে প্রথম দিন খেলা হয়েছিল ৭৪ ওভার। দ্বিতীয় দিন তো মাঠেই নামতে পারেনি কোনো দল। পুরোপুরি ভেস্তে যায় দিনের খেলা। তৃতীয় দিনেও খেলা হয় সাকুল্যে ৫৪ ওভার। এটুকু সময়েই কিংস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে নিজেদের সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে তুলে নিয়ে যায় পাকিস্তান।
দ্বিতীয় দিনের শেষে পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটের বিনিময়ে তুলেছিল ২১২ রান। এরপর থেকে খেলা শুরু করে তৃতীয় দিনে বাবর আজমরা তাদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে করে ৯ উইকেটে ৩০২ রান তুলে।
ফাওয়াদ আলম প্রথম দিনই চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। তবে তৃতীয় দিন আবারও ব্যাট করতে নামেন এবং ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন। মোট ১৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ফাওয়াদ। এছাড়া পাকিস্তানের হয়ে ৭৫ রানের অবদান রাখেন অধিনায়ক বাবর। মোহাম্মদ রিজওয়ান ৩১, ফাহিম আশরাফ ২৬ ও শাহিন আফ্রিদি ১৯ রানের সংক্ষিপ্ত ইনিংস খেলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৩টি করে উইকেট নেন কেমার রোচ ও জাইডেন সিলস। ২টি উইকেট নিয়েছেন জেসন হোল্ডার।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। তৃতীয় দিনের শেষে তারা ৩৯ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। দুই ওপেনার ব্রাথওয়েট ও পাওয়েল যথাক্রমে ৪ ও ৫ রান করে শাহিন আফ্রিদির শিকার হন। রোস্টন চেস ১০ রান করে আশরাফের বলে আউট হয়েছেন। বোনার অপরাজিত রয়েছেন ১৮ রান করে।
ইউ\চখ