chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বিমানে আফগান নারী সন্তান প্রসব

ডেস্ক নিউজ : দেশ ছেড়ে যাওয়ার পথে বিমানে এক মেয়েশিশুর জন্ম দিয়েছে আফগানিস্তানের এক নারী।

যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, জার্মানির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাইনল্যান্ড-প্যালেটিনেট প্রদেশে আমেরিকার রামস্টেইন বিমানঘাঁটিতে যাওয়ার পথে রোববার ওই নারী সন্তান প্রসব করেন।
অবতরণের পর চিকিৎসকরা যুক্তরাষ্ট্রের সি-১৭ সামরিক বিমানে উঠে এটির কার্গো হোল্ডেই শিশুটি প্রসব করান।
বিমানঘাঁটির পার্শ্ববর্তী চিকিৎসাকেন্দ্রে মা ও শিশু দুজনই সুস্থ রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, বিমানে ভ্রমণের একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর দেহে জটিলতা দেখা দেয়।
এ কারণে বিমানে বায়ুচাপ বাড়াতে চালককে বিমানটি কিছুটা নিচে নামাতে হয়।
চালকের এ সিদ্ধান্ত ওই নারীর জীবনরক্ষার পাশাপাশি তার শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে।
১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের পরের দিন থেকে তালেবানের ভয়ে দেশ ছাড়তে হাজার হাজার মানুষ কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করে।
বিমানবন্দরের বাইরে প্রখর রোদ এবং চরম হট্টগোলের মধ্যে তারা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করছেন এই আশায় যে, বিদেশি কোনো বিমানে চড়তে পারলেই মিলবে মুক্তি। তালেবানের আগের শাসনামলের মতো যোদ্ধাদের হাতে বেঘোরে প্রাণ যাবে না তাদের।
এ মুহূর্তে কাবুল বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে শনিবার বলা হয়, এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার মানুষকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।
আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সব সেনা প্রত্যাহারে ৩১ আগস্টের সময়সীমা নির্ধারণ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
অবশ্য নিজেদের নাগরিক ও বিদেশি বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করা আফগানিস্তানের নাগরিকদের দেশটি থেকে নিরাপদে সরাতে ওই সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ।
দেশগুলোর শঙ্কা, তাদের নাগরিকরা তালেবানের প্রতিহিংসার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বরেল শনিবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘চলতি মাসের মধ্যেই ৬০ হাজার মানুষকে আফগানিস্তান থেকে সরাতে চায় পশ্চিমা দেশগুলো। গাণিতিকভাবে এটি অসম্ভব।’

এদিকে কাবুল বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে তালেবান।
তালেবান কর্মকর্তা আমির খান বলেন, ‘সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কাবুল বিমানবন্দরে শৃঙ্খলা আনতে ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
‘আফগানিস্তানজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। কেবল কাবুল বিমানবন্দরেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি।’
এসএএস/

এই বিভাগের আরও খবর