ডেস্ক নিউজ: চট্টগ্রাম জেলায় মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বাড়লেও মৃত্যুর সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩শ ৩২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
এর আগের দিন শুক্রবার (২০ আগস্ট) প্রতিবেদনে চট্টগ্রামে একদিনে ৩শ ০১ জন আক্রান্ত হয়েছিল। গত ৩০ জুলাই চট্টগ্রামে একদিনে রেকর্ড ১ হাজার ৪শ ৬৬ জন আক্রান্ত হয়েছিল।
আজ শনিবার (২১ আগষ্ট) চট্টগ্রাম জেলার করোনা সম্পর্কিত এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ জুলাই চট্টগ্রামে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। পরদিন ২৮ জুলাই এ সংখ্যা দাড়ায় ১৭ জন। ২৯ জুলাই ১৭ জন এবং তার আগে গত ২০ জুলাই ১৫ জন এবং ১১ জুলাই ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিলো। তাছাড়া গতকাল শুক্রবার (২০ আগস্ট) একদিনে ১০ জনের মৃত্যু হয় করোনার বিষে।
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে মারা যাওয়া ৪ জনের মধ্যে নগরীতে ০১ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে মারা গেছে আরো ০৩ জন। আগের দিন চট্টগ্রামের উপজেলা পর্যায়ে ৮ জন এবং নগরীতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছিলো।
করোনা আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট এক হাজার ১শ ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬শ ৬৫ জন চট্টগ্রাম নগরের। আর বিভিন্ন উপজেলায় মারা গেছেন ৫শ ০৫ জন।
এদিকে আগের দিনের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা অনেক বেড়েছে। সিভিল সার্জন থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজার হাসপাতাল ল্যাব ও চট্টগ্রামের ৯টি ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টসহ মোট ২ হাজার ৬শ ০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর আগের দিন এ সংখ্যা ছিলো ১ হাজার ৯শ ১৭ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৩শ ৩২ জন। আগের দিন আক্রান্ত সংখ্যা ছিল ৩শ ০১ জন। নতুন করে যাদের করোনা পজেটিভ এসেছে তার মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের ২০৮ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ১২৪ জন রয়েছেন।
চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬ হাজার ৮শ ৩৫ জন। মোট শনাক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর ৭০ হাজার ৮শ ৫১ জন। আর জেলার বিভিন্ন উপজেলার ২৫ হাজার ৯শ ৮৪ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলা পর্যায়ে যারা আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে রাউজানে ২৮ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ০২ জন, ফটিকছড়িতে ০৯ জন, হাটহাজারীর ৩১ জন, সীতাকুণ্ড ১৬ জন, মিরসরাই ০৫ জন, সন্দ্বীপে ০০ জন, লোহাগাড়ায় ০১ জন, সাতকানিয়ায় ০১ জন, বাঁশখালীতে ০৪ জন, আনোয়ারায় ০৫ জন, চন্দনাইশে ০০ জন, পটিয়ায় ০৯ জন ও বোয়ালখালী ১৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৫৫ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৫৪ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।
এদিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারো শরীরে পজেটিভ আসেনি। একই সময়ে চট্টগ্রাম ভেটেনারি ও এনিম্যাল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবেও ৪৪ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবেও নতুন করে ৫৫ জনের পজেটিভ আসে। এদিন ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১২ জনের পজেটিভ আসে।
গত ২৪ ঘন্টায় জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়নি। এদিন এন্টিজেন টেস্ট এ ৩৫ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১০ জনের করোনা পজেটিভ আসে।
এদিন শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ২৯ জনের পজেটিভ আসে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৫ জন এবং ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ২৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।