chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

অবশেষে হাটহাজারী মাদ্রাসার কবরস্থানেই বাবুনগরীর দাফন সম্পন্ন

ডেস্ক নিউজ: একের পর এক সিদ্ধান্ত বদল হতে হতে অবশেষে নাটকীয়তার অবসান ঘটলো। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে অবশেষে হাটহাজারী মাদ্রাসার কবরস্থানেই দাফন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে হাটহাজারীর আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায়, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আমির শাহ আহমদ শফীর পাশে জুনায়েদ বাবুনগরীর মরদেহ দাফন করা হয়।

দাফন নিয়ে শুরু থেকে মতবিরোধ দেখা যায়। প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিল লাশ দাফন করা হবে ফটিকছড়ির বাবুনগর গ্রামে বাবুনগরীর পারিবারিক কবরস্থানে।

পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তণ করে বলা হয় হাটহাজারী মাদ্রাসা কবরস্থানে বাবুনগরীকে শায়িত করা হবে। এ নিয়ে কয়েক দফা সিদ্ধান্ত বদল হয়। সর্বশেষ মাদ্রাসার কবরস্থানে জুনায়েদ বাবুনগরীকে দাফন করার কথা থাকলেও হেফাজতে ইসলামের একটি সূত্র জানিয়েছে, তাকে তার পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।

তাকে সমাহিত করার জন্য হাটহাজারী মাদ্রাসা এবং নিজ বাড়ি ফটিকছড়ির বাবুনগরে দুটি পৃথক কবর খোড়া হয়েছে। মাদ্রাসার ছাত্ররা তাকে মাদ্রাসার কবরস্থানে সমাহিত করার পক্ষে।

তবে হেফাজতে ইসলামের একটি সূত্র জানিয়েছে, জানাজার নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানেই তাকে সমাহিত করা হবে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে হাটহাজারী মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে ছাত্রদের চাপের মুখে বাবুনগরীর মরদেহ হাটহাজারী মাদ্রাসার কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ সময় কবরস্থানের মূল ফটকের সামনে বাবুনগরীর পরিবারের সদস্য ও ভক্তদের হৈচৈ করতে দেখা যায়। পরে নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে হাটহাজারী মাদরাসার কবরস্থান ‘মাগবারায়ে জামেয়ায়’ হেফাজতের সাবেক আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীর কবরের পাশেই জুনায়েদ বাবুনগরীর লাশ দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাত ১১টা ২০ মিনিটে হাটহাজারী দারুল উলুম আল মাদ্রাসা মাঠে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর মামা ও হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত আমীর আল্লামা মহিবুল্লাহ বাবুনগরী।

জানাজায় অংশগ্রহণ করেন ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুল ইসলাম, বেফাকের সভাপতি ও হাইয়াতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান মজলিসে দাওয়াতুল হকের আমির আল্লামা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদি, মাওলানা আব্দুল হালীম মধুপুরী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মুফতি মুহাম্মদ আলী, মুফতি হুমায়ুন হুমায়ুন আইয়ুব, মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ, সাইমুম সাদী, ড. এনায়াতুল্লাহ আব্বাসীসহ বিভিন্ন দলের কেন্দ্রীয় ও চট্টগ্রাম মহানগর, জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দসহ লক্ষাধিক মানুষ।

উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে জুনায়েদ বাবুনগরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তার অবস্থা গুরুতর হলে ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিএসসিআর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সাড়ে ১২টার দিকে বাবু নগরীকে মৃত ঘোষণা করেন সেখানকার চিকিৎসকরা।

৬৭ বছর বয়সী আল্লামা বাবুনগরী দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন বাবুনগরীর অনুসারীরা।

এই বিভাগের আরও খবর