chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চবি সাংবাদিক সমিতির ‘বঙ্গবন্ধু ও গণমাধ্যম’ ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।

রবিবার (১৫ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় ওয়েবিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, আমন্ত্রিত অতিথি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এসএম মনিরুল হাসান, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া ও আলোচক হিসেবে বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শিরীণ আখতার বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু জাতির জনকই নয়, মহানায়ক ছিলেন। তিনি ছিলেন অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিশ্ব নেতা। কিন্তু চক্রান্ত করে বঙ্গবন্ধুসহ দেশ ও জাতির নেতাদের হত্যা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট যারা কালো অধ্যায়ের সূচনা করেছিল তারা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেই সব শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু তারা জানত না তিনি ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিশ্ব ইতিহাস থেকে তাকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না।

উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের খুব ভালোবাসতেন। ইত্তেফাকের সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন বঙ্গবন্ধু। ৭১-এ যে সকল সাংবাদিকরা বিরুদ্ধচারণ করেছেন স্বাধীনতার পর তাদেরকে বঙ্গবন্ধু ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।

গণমাধ্যম ও বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাথে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের নিবিড় সম্পর্ক ছিল। কিন্তু একটি মিথ্যচার বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে চর্চিত হয় যে, তিনি বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের লাগাম টেনে ধরেছিলেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ১৯৭১ সালের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নব্য স্বাধীন বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চর্চার অবাধ সুযোগ দিয়েছিলেন। এই সুযোগ বেশ নেতিবাচকভাবে কাজে লাগিয়েছিল তৎকালীন সংবাদপত্রগুলো।

তিনি বলেন, একটি মহল পাকিস্তানের মদদপুষ্ট হয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে সংবাদের নামে জঘন্য মিথ্যাচার করে বেড়াতো। গণমাধ্যমের যে গঠনমূলক ভূমিকা রাখার কথা ছিল, সেটা তখনকার সংবাদপত্রগুলো রাখতে পারেনি। মূলত তাদের লাগাম টেনে ধরার জন্য বঙ্গবন্ধু কিছু সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন।

চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুনাওয়ার রিয়াজ মুন্নার সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন সমিতির সহ সভাপতি নাজমুস সায়াদাত, যুগ্ম সম্পাদক মিনহাজ তুহিন ও সদস্য মাববুর এ রহমান।

এসএএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর