chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বাঁশখালীতে মৌলভী সৈয়দের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী, চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলীয় গেরিলা বাহিনীর অধিনায়ক, চট্টগ্রাম আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, চট্টগ্রাম মুজিব বাহিনীর প্রথম পতাকা উত্তলনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মৌলভী সৈয়দ আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার (২১ আগস্ট) শেখেরখীল লালজীবন পুরাতন জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল গফুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাতাব উদ্দীন আহমদ চৌধুরী। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা নঈমদ্দীন চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুচ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ছৈয়দ মাহমুদুল হক, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোছলেহ উদ্দীন মনছুর, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সিআইপি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল গফুর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু ছৈয়দ, পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা সেলিমুল হক চৌধুরী, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মৌলভী নুর হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শ্যামল কান্তি দাশ, দক্ষিণ জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল করিম আতিক, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি মোজাম্মেল হক সিকদার উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাকছুদ মাছুদ প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, ১৯৬৮ ও ৬৯ এর গণআন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে যে কজন সাহসী সন্তান প্রাণ দিয়েছেন মৌলভী সৈয়দ ছিলেন তাদের মধ্যে প্রথম শহীদ।

‘১৯৭৭ সালের ১১ আগস্ট স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান বিনা বিচারে তাকে হত্যা করেছিল। মেজর জিয়া সেদিন বিচারের নামে প্রহসন করে কর্ণেল তাহেরসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল, যাদের নাম হয়তোবা আমাদের জানা নেই। সংগ্রামের মাধ্যমে যার জীবন শুরু তার নাম শহীদ মৌলভী সৈয়দ। তিনি অন্যায়ের কাছে কোনদিন মাথা নত করেননি।’

৬৯ এর গণ আন্দোলনে চট্টগ্রামে যে কজন ছাত্রনেতা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন।

বক্তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম শহরে কয়েকটি গেরিলা অভিযানে তিনি ব্যক্তিগতভাবে নেতৃত্ব দিয়ে সফল হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ব্যক্তি। ১৯৭৭ সালে ১১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করলে তৎকালীন সেনা সরকার মৌলভী ছৈয়দকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। এদিকে তার এই অবদানের কথা তরুণ প্রজম্মকে জানিয়ে দিতে আজ আমরা তার মৃত্যুবার্ষিকী ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছি।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৭ সালের ১১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করলে তৎকালীন সেনা সরকার মৌলভী সৈয়দকে তুলে নিয়ে হত্যা করে।

এসএএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর