সিআরবিতে যারা হাসপাতাল করতে চায় তারা দেশের শত্রু: অনুপম সেন
হাসপাতাল অন্যত্র স্থানান্তরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা
নিজস্ব প্রতিবেদক: কালচার অ্যান্ড হেরিটেজ ঘোষিত চট্টগ্রামের সিআরবি’র প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে যারা হাসপাতাল নির্মাণের পক্ষ নেবেন, তারা চট্টগ্রামের তথা দেশের শক্র বলে মন্তব্য করেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. অনুপম সেন।
সিআরবি রক্ষায় আন্দোলনকারী সংগঠন নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান ড. অনুপম সেন বলেন, সিআরবি রক্ষায় চট্টগ্রামের মানুষ তথা সারাদেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ। চট্টগ্রামের ফুসফুস সিআরবি রক্ষায় আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চাই।
তিনি বলেন, হাসপাতাল হোক সেটা আমরা চাই। তবে সেটা কোনভাবেই সিআরবিতে নয়। যারা সিআরবির প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করতে সেখানে হাসপাতাল নির্মাণের পক্ষ নেবেন, তারা চট্টগ্রামের তথা দেশের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হবেন। সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহতের ঘোষণা দেন প্রফেসর ড. অনুপম সেন।
আজ মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত নাগরিক সমাজ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সিআরবি থেকে প্রস্তাবিত হাসপাতাল ও কলেজ নির্মাণ প্রকল্প অন্যত্র স্থানান্তরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ।
নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সদস্য সচিব এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল।
এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের কো চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও রাজনীতিবিদ মফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুচ, নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, প্রফেসর মো. হোসাইন কবির, পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. ইদ্রিস আলী, যুগ্ম সদস্য সচিক কবি ও সাংবাদিক কামরুল হাসান বাদল, নাট্য ব্যক্তিত্ব সাইফুল ইসলাম বাবু, এডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, বিএফইউজে যুগ্ম মগাসচিব মহসীন কাজী, আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসান, কার্যকরী সদস্য চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, পরিবেশবিদ শরীফ চৌহান প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন কবি ও সাংবাদিক শুকলাল দাশ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সিআরবি চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মিত হলে পরিবেশ দূষণ ঘটবে এবং পুরো সিআরবি এলাকাটির প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক বলয় হুমকির মুখে পড়বে।
এছাড়া, সিআরবি এলাকায় যেহেতু বর্ষবরণসহ বছরব্যাপী নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়, এটির সংলগ্ন এলাকায় হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ নির্মিত হলে তা হাসপাতালের রোগী ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠদানেও তীব্র ব্যাঘাত ঘটানোর আশঙ্কা থাকবে। এক কথায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি সিআরবির অনুপম ও প্রশান্ত প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেবে।
আরএস/এমআই