chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

মাত্র ৩ থেকে ৭ দিনে সুস্থ হবে করোনা রোগী!

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা আক্রান্ত রোগীকে মাত্র ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব বলে দাবি করেছেন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডাঃ সুকান্ত কুমার রায়।

আজ রবিবার (৮ আগস্ট) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হল মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন।

পাশাপাশি তার উদ্ভাবিত ওষুধ হোমিওপ্যাথিক কম্বিনেশন ‘কোভিড-১৯ কিউরা’ দিয়ে করোনা রোগীর সংক্রমণ রোধে ও এর প্রতিকারের বিষয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিউলী রায়, আদিনাথ দেব ও অন্যান্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডাঃ সুকান্ত কুমার রায় বলেন, ২০২০ সালের ১৫ই মার্চ আমরা সর্বোচ্চ মেধা প্রয়োগ করে হোমিওপ্যাথিক কম্বিনেশন ‘কোভিড-১৯ কিউরা’ তৈরি করি।

একই বছরের ২৪ মে প্রথম করোনা পজিটিভ রোগীর উপর সে ওষুধ প্রয়োগ করি এবং রোগী সুস্থ হয়ে যায়। এ ছাড়া আজ পর্যন্ত চার শতাধিক করোনা রোগীকে ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে সুস্থ করে তুলি। যার মধ্যে ১৭ জন রোগীর মারাত্মক শ্বাসকষ্ট ছিলো যাদের অক্সিজেনও ছিলো নিম্মমুখী।

তিনি দাবি করেন, সবাই কোভিড-১৯ কিউরাতে সুস্থ হয়ে উঠেন। তাদের একজনকেও হাসপাতালে যেতে হয়নি। সবাই বাসায় এই ওষুধ সেবন করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। চারশ রোগীর মধ্যে দুইশ রোগী আমার চেম্বারে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকিরা বিভিন্ন রেফারেন্সে ওষুধ নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২-৩ এমনকি ৩-৪ দিনের মধ্যে যে রোগীর করোনা নেগেটিভ এসেছে তার প্রমাণ আমার হাতে আছে। আপনারা চাইলে দেখতে পারেন।

তিনি ‘কোভিড-১৯ কিউরা’ ওষুধের কাজ, প্যাকেজ বা গ্রুপ ট্রিটমেন্ট এবং ওষুধ চলাকালীন করণীয় বিষয় নিয়ে বলেন, পরিবারের একজন করোনায় আক্রান্ত হলে তার সাথে পরিবারের যারা থাকেন সবাইকে চিকিৎসা করাতে হবে।

এক্ষেত্রে রোগী বা অন্য সদস্যদের আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। উপসর্গ দেখা দেয়ার সাথে সাথে চিকিৎসা শুরু করলে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। তাছাড়া এই ওষুধ ব্যবহারে করোনা, ডেঙ্গু, নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, মেনিনজাইটিস ও ঠান্ডা জনিত রোগ সম্পূর্ণরুপে ৩ থেকে ৭ দিনে সুস্থ হয়।

তবে একই ধরনের উপসর্গের আরো কিছু ভাইরাস ‘কোভিড-১৯ কিউরা’তে আরোগ্য লাভ করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে এবং রোগী সুস্থ হওয়ার ২-১ দিনের মধ্যে শারীরিক শক্তি অনুভব করে। চিকিৎসা চলাকালীন আবদ্ধ ঘরে থাকা যাবে না। খোলা বাতাসে পর্যাপ্ত পরিমাণ শ্বাস নিবেন।

এসি রুমে থাকা যাবে না। ঠান্ডা কিছুই খাওয়া যাবে না। জ্বর ১০৪ ডিগ্রী থাকলেও সাবসিটার ব্যবহার করবেন না। এসময় কালোজিরা খাওয়া যাবে না। সিদ্ধ করা নরমাল পানি পান করবেন।

বর্তমান সরকার ‘কোভিড-১৯ কিউরা’ ওষুধটাকে বিবেচনায় নিতে পারেন বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘রোগী বাঁচাও’ এই বিষয়টাকে মাথায় রেখে আমি কাজ করেছি। আমি আমাকে সফল মনে করি।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর