ধোপাছড়ি খালের ভাঙন, চন্দনাইশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : চন্দনাইশ উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ধোপাছড়ি খালের মুখের পাড় ভেঙে যাতায়াতের সাঁকো পানির স্রোতে ভেসে গেছে। এতে চন্দনাইশের সঙ্গে পূর্ব ধোপাছড়ির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, পূর্ব ধোপাছড়ির শঙ্খমুখ, ক্যাম্প পাড়া, শামুকছড়ির ২ শতাধিক পরিবারের সহস্রাধিক লোক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, মুমূর্ষু রোগীর একমাত্র চলাচলের পথ ধোপাছড়ি খালের মুখের বাঁশের সাঁকো গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এক সপ্তাহ আগে পূর্ব ধোপাছড়িবাসীর একমাত্র চলাচলের সাঁকোটি পাহাড়ি ঢলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বির্পযস্ত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, স্বাধীনতার ৫০ বছরে কয়েকজন সংসদ সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিরা বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও বাস্তবায়ন হয়নি। দোহাজারী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১৯৭৩ সালে ধোপাছড়ি বিভক্ত হয়। পাহাড়ি জনপদে উপজাতি, ত্রিপুরা, মারমা, রাখাইন, রোহিঙ্গা, বাঙ্গালী সংমিশ্রনে ৩টি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম বাঁশের সাঁকো।
প্রতি বর্ষা মৌসুমে এ বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে গেলে স্থানীয়রা নিজস্ব অর্থায়নে মেরামত করে চলাচল করে থাকে। বর্ষা এলে ধোপাছড়ি খালের পূর্ব পাশের ৩ গ্রামের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারে না।
ধোপাছড়ি খালটি ছড়া থেকে ভাঙ্গনের ফলে বিশাল খালে পরিনত হয়ে শঙ্খ নদীর সাথে সংযুক্ত হয়েছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে খালের পূর্ব পাড় ভাঙ্গনের মুখে পড়ে প্রায় বৃষ্টি বসতঘর ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল আলীম বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হলেও ধোপাছড়িবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন কিংবা পরিবর্তন হয়নি। এ খালের উপর ব্রীজ নির্মাণ সময়ের দাবি। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও ব্রীজ নির্মাণ না হওয়ায় এ এলাকার শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় গর্ভবতী মহিলা, মুমূর্ষ রোগী অকালে প্রাণ হারাচ্ছে বিনা চিকিৎসায়।
পূর্ব ধোপাছড়ির সাথে ধোপাছড়ি বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা সদর, দোহাজারীসহ বিভিন্ন এলাকায় চলাচলের একমাত্র পথ ধোপাছড়ি খালের উপর বাঁশের সাঁকোটি পূণার্ঙ্গ ব্রীজে রূপ দেয়ার দাবি জানিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
এসএএস/এমআই