chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে গুজব ছড়িয়ে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করেছিল জামায়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা করোনাকে পুঁজি করে সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি ও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছিল বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার নগরীর চান্দগাঁও থানায় গ্রেপ্তার সংগঠনটির ১৯ নেতাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর করোনা পরিস্থিতিকে পুঁজি করে লকডাউন ভন্ডুল করার পরিকল্পনা করেছিল তারা। মূলত বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী ও ত্রাণ বিতরণের মাধ্যমে দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আড়ালে মসজিদ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে গুজব ছড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে খ্যাপানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের।

চান্দগাঁও থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আটক ১৯ নেতাকর্মীকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য পেয়েছি। তারা নগরীর বিভিন্ন বস্তি এলাকার অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করার আড়ালে সরকার মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে গুজব ছড়াতে চেয়েছিল। যেন ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষকে সরকারের বিরুদ্ধে খ্যাপানো যায়। এর মাধ্যমে সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করাই তাদের অন্যতম পরিকল্পনা ছিল।

ওসি জানান, আমরা বিস্তারিত তথ্যের জন্য তাদের রিমান্ডের আবেদন করেছি। মঙ্গলবার গ্রেপ্তার ১৯ জনের মধ্যে চার জনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালত পরে শুনানি করা হবে বলে জানিয়েছেন। আপাতত তাদের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এর আগে সোমবার রাত ১২ টা দর দিকে গোপন বৈঠকের সময় চান্দগাঁও থানার আদুরপাড়ার একটি ভবন থেকে সংগঠনের ১৯ নেতাকর্মীকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ১৯ জন হলেন- স্থানীয় মসজিদের ইমাম মো. ইসহাক, জামায়াত ইসলামীর নগরীর চান্দগাঁও (উত্তর) ইউনিটের সহকারী বায়তুল মাল সম্পাদক মো. ইসকান্দর, একই ইউনিটের সভাপতি আবুল হাসান মো. ইয়াসিন ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, আদুরপাড়া ইউনিটের বায়তুল মাল সম্পাদক আবু হোসেন এরশাদ, জামায়াত কর্মী মুজিবুল হক জাবেদ, মোর্শেদুল আলম, শওকত হোসেন, শহিদুল ইসলাম বেলাল, আনোয়ার খালেদ, সাইফুল ইসলাম, ফরহাদুল ইসলাম, জকির হোসেন ও শেখ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং শিবির কর্মী মো. মিরাজ, আলী আজগর, আবুল কাশেম, আবু সালেহ মো. রিফাত ও আবু বক্কর ছিদ্দিক মমিন।

চান্দগাঁও থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আদুরপাড়ার একটি ভবনে গোপন বৈঠক চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জামায়াতের ১৯ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাংগঠনিক কাগজপত্র ও কিছু বইও উদ্ধার করা হয়।

এসএএস/

এই বিভাগের আরও খবর