chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

লুটেরাদের গ্রাস থেকে জেলে সম্প্রদায়কে বাঁচান: সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক: জবরদখলকারী লুটেরাদের গ্রাস থেকে জেলে সম্প্রদায়কে বাঁচাতে আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন

সম্প্রতি জেলে সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিগণ নানান অভিযোগ এবং সহযোগিতা প্রার্থনার প্রেক্ষিতে আজ রবিবার (২৫ জুলাই) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি এ অনুরোধ জানান সুজন।

এসময় তিনি বলেন, সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণে দীর্ঘ প্রায় ৬৫ দিন সমুদ্রে ট্রলারের মাধ্যমে সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। সরকারি নির্দেশনা মেনে এসময় মাছ ধরা থেকে বিরত ছিল আমাদের জেলে সম্প্রদায়।

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর মাছের রূপালী আভায় তাদের মুখ হাসিখুশিতে ভরে উঠার কথা থাকলেও পতেঙ্গা থেকে কাট্টলী এলাকায় বসবাসরত জেলে সম্প্রদায়ের মুখে ফুটে উঠেছে হতাশা। অজানা আতংক ভর করেছে তাদের চোখেমুখে।

একে তো দীর্ঘদিন মাছ ধরা বন্ধ। অন্যদিকে দাদনদের কাছ থেকে কড়াসুদে নেওয়া ঋণ পরিশোধের চাপ। তার উপর অপেশাদার কিছু লোকের অব্যাহত হুমকিতে তাদের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে।

অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি যে পতেঙ্গা ১৫ নাম্বার ঘাট থেকে হালিশহর হয়ে কাট্টলী পর্যন্ত একশ্রেণীর অসাধু অপেশাদার ব্যবসায়ী জেলেদের কাছ থেকে মাছ ও জাল কেড়ে নিচ্ছে। পেশাদার জেলে সম্প্রদায়ের মাছের খুঁটিকে দখল করে নিচ্ছে।

তারা জেলেদের কাছে উচ্চহারে চাঁদা দাবি করছে। এমনকি কম দামে মাছ বিক্রি করতে বাধ্য করছে জেলেদের। এসব অপেশাদার তস্করদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি।

প্রতিবছরই ইলিশের মৌসুম আসলেই তাদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। তারা সাগরপাড়ের বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক ভাগ হয়ে এসব অপকর্ম চালায়। তাদের ক্রমাগত হুমকিতে অসহায় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা এসব সাধারণ জেলে সম্প্রদায়।

যখন এ মৌসুমে জেলেরা তাদের পরিবারের মুখে একটুকু প্রশান্তি আনতে উত্তাল সমুদ্রে দিনরাত হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে মাছ আহরণ করে ঠিক সেই মুহূর্তে লুটেরাদের এ ধরণের কর্মকান্ড সত্যিই অমানবিক এবং আইনবিরোধী কাজ।

তিনি এসব তস্করদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মৎস্য অধিদপ্তর, নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি সবিনয় অনুরোধ জানান। এছাড়া এসব লুটেরাদের হাত থেকে জেলে সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে পতেঙ্গা থেকে কাট্টলী পর্যন্ত বিশেষ পুলিশি টহল জোরদার করার আহবান জানান।

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এসব অপশক্তি যত শক্তিশালীই হোক না কেন তাদেরকে কোন অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া যাবে না। তিনি নাগরিক উদ্যোগের নেতৃবৃন্দকে স্ব স্ব এলাকার জেলে সম্প্রদায়ের পাশে থাকার উদাত্ত আহবান জানান।

প্রয়োজনে জেলে সম্প্রদায়কে সাথে নিয়ে এসব পেশাদার লুটকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে জানান খোরশেদ আলম সুজন।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর