chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রাম নগরী ফাঁকা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম নগরীরে কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে কঠোর বিধি-নিষেধ। ঈদুল আজহার ছুটি শেষ না হতেই শুরু হওয়া দুই সপ্তাহের ‘কঠোর বিধি-নিষেধ’ এর প্রথম দিন চট্টগ্রাম শহর প্রায় জনশূন্য। ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির মধ্যেও ফাঁকা নগরজুড়ে টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শুক্রবার (২৩ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এই বিধি-নিষেধের আওতায় সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানাসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকছে। তবে জরুরি পরিষেবা ও গণমাধ্যম বিধি-নিষেধের আওতার বাইরে থাকছে।

নগরীর শাহ আমানত সেতু ও মইজ্জ্যারটেক, সিটি গেইট এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় চলছে টহল। যারা গাড়ি নিয়ে সড়কে এসেছেন, তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। সড়কে আছে শুধু গুটিকয়েক রিকশা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জরুরি পরিষেবা বিবেচনায় সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার ছাড়া সপ্তাহের পাঁচদিনই সকাল ১০টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত লেনদেন করা যাবে ব্যাংকগুলোতে। ব্যাংক খোলা থাকায় চলবে পুঁজিবাজারের লেনদেনও।
এছাড়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকায় এবং বিদেশগামী যাত্রীরা তাদের আন্তর্জাতিক ভ্রমণের টিকিট প্রদর্শনপূর্বক গাড়ি ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারবেন। টিকা কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে টিকা নেওয়ার জন্য যাতায়াত করা যাবে। জরুরি পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক লরি, কাভার্ড ভ্যান নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকছে।

এদিকে বিধি-নিষেধ মেনে বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ সড়ক ও রেল যোগাযোগ। খুলেনি শপিংমল, মার্কেট। তবে কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় করতে পারবে।
অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন, সৎকার ইত্যাদি) বাড়ির বাইরে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। নির্দেশনা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। ‘কঠোর বিধি-নিষেধ’ বাস্তবায়নে মাঠে আছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও।

এসএএস/নচ

এই বিভাগের আরও খবর