chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

টক শো’র রিয়াজ এবার ঈদ ম্যাগাজিনে

ডেস্ক নিউজ: বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ঈদের বিশেষ ম্যগাজিন অনুষ্ঠান ‘ঈদ আনন্দ’ এবার সাজানো হয়েছে নতুন আঙ্গিকে।

এবারের আয়োজনে ভিন্ন মাত্রিক অবয়ব নিয়ে আসছেন পেশাজীবী নাগরিক সংগঠক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। সাধারণত তিনি ক্ষুরধার লেখনী, টেলিভিশন টকশো’র আলোচকসহ সঞ্চালক হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। কিন্তু এবার আসছেন সম্পূর্ণ নতুন রূপে।

অনুষ্ঠানটির রেকর্ডিং এর দু’দিন পরেই তিনি করোনা আক্রান্ত হন। করোনায় দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন পরিস্থিতির কারণে ভাগ্যিস এর রেকর্ডিংটি দুইদিন এগিয়ে আনা হয়েছিল, নতুবা ভেস্তে যেত সব আয়োজন।

ঈদের এই বিশেষ অনুষ্ঠানের গ্রন্থনা ও উপস্থাপনায় থাকছেন সাংবাদিক ও নাগরিক সংগঠন নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। তাঁর গ্রন্হিত অনুষ্ঠানটিতে থাকছে আদিবাসী নৃ গোষ্ঠীর মনোমুগ্ধ নৃত্য, পবিত্র কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে একাধিক কৌতুক, একাধিক যুগল নৃত্যু, আধুনিক গান ও ব্যান্ড সংগীত, মনোমুগ্ধ যাদুসহ নানা আয়োজন।

অনুষ্ঠানটির একাংশে হঠাৎ অনাহুত আগন্তুক এর মতই জাদুশিল্পী রাজিব বসাকের অনুষ্ঠানে স্টেজে প্রবেশ! সঞ্চালক সাংবাদিক রিয়াজ শুরুতেই তাঁকে কৌশলে ফ্লোর না দিয়ে যাদু প্রদর্শন প্রচেষ্টা থেকে বিরত রাখতে একাধিক দফায় চেষ্টা করেন।

কিন্তু ঠিক অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে এসে সুযোগ দেন করোনা সতর্কতাসহ কোরবানির পরিবেশ রক্ষার তাৎপর্যের আহবানে যাদু প্রদর্শনীর। তখনই বুঝা গেল অনুষ্ঠানটির শুরুতেই যাদু প্রদর্শনীতে বিরত রাখার কৌশল এর নেপথ্যের কাহিনী।

শেষ লগ্নে দু’জনের প্রাণবন্ত আলোচনায়ও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানটি। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষেও অনুষ্ঠানটিতে যুক্ত থাকছে দেশাত্মবোধক গান।

কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে একশ্রেণীর মানুষের প্রচারমুখীতা ও সাধারণ অসচ্ছলদের মনের উদারতাও দারুণভাবে উঠে এসেছে এই অনুষ্ঠানে সংযুক্ত এক অনুনাটকের মধ্য দিয়ে।

সমগ্র অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনাতই খ্যাতনামা এই টিভি সঞ্চালক ও পেশাজীবী নেতা রিয়াজ দারুন মাতিয়ে যান। বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নিতাই চন্দ্র ভট্টাচার্যের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানটির প্রযোজনা করেছেন শেখ শওকত ইকবাল চৌধুরী।‌

অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে ঈদের তৃতীয় দিন রাত ৯ টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে, যা স্যাটেলাইটে দেখতে পাবেন বিশ্বের প্রায় সবকটি দেশের মানুষ।

আরএস/এমআই