chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বোয়ালখালীতে পশুর হাটে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

নিজস্ব প্রতিবেদক: কয়েক দিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বসছে কোরবানির পশুর হাটআজ রবিবার বোয়ালখালী উপজেলার মুরাদ মুন্সি হাট ও খরণদ্বীপ কেরানী বাজারেও বসেছে পশুর হাট ।

মুরাদ মুন্সীর হাটে সকাল থেকে প্রায় ৮ হাজার গরু এসেছে বিক্রির জন্য। এসব গরুর চারপাশে ক্রেতা-বিক্রেতার জটলা। অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। কেউই মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। এলাকার পালিত গরু, মহিষ ও ছাগল ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু-মহিষ হাটে এনেছেন ব্যবসায়ীরা। হাটে শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের উপস্থিতি দেখা গেছে চোখে পড়ার মতো।

স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এভাবে অবাধে মেলামেশায় বাড়তে পারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ।

পূর্ব গোমদন্ডী এলাকার মৌসুমী গরু ব্যবসায়ী হাশেম বলেন, সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ও রবিবার মুন্সীর হাট বসলেও কোরবান উপলক্ষে আজই শেষ হাট। বগুড়া থেকে গরু এনেছে হাটে। এর মধ্যে বিক্রি করেছেন দুইটি।

গরু কিনতে হাটে আসা পোপাদিয়ার সৈয়দ মোহাম্মদ মোদ্দাচ্ছের বলেন, কোরবানির জন্য বড় একটি গরু কিনতে এ হাটে এসেছি। এখনো গরু কিনতে পারিনি। হাটের যা অবস্থা বলার মতো না। প্রায় জনেরই মুখে নেই মাস্ক। প্রচুর ভিড়।

পৌর কাউন্সিলর এস এম মিজানুর রহমান জানান, হাটের ২০টি বুথে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২০টি গরু বিক্রি হয়েছে। তবে প্রচুর ক্রেতা-বিক্রেতা উপস্থিতি রয়েছে। সন্ধ্যার দিকে বাড়বে বলে জানান তিনি।

খরণদ্বীপ কেরানী বাজারে গরু ব্যবসায়ী মো. মিজান জানান, আজ হাটে বিক্রির জন্য ১০টি গরু নিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে দুটি গরু বিক্রি হয়েছে। বেশির ভাগ ক্রেতাই দরকষাকষি করে চলে যাচ্ছে। তিনি রাঙ্গুনিয়া ও রংপুর থেকে ৭০টি গরু এনেছিলেন। এর মধ্যে ১০টি রয়ে গেছে।

হাটে প্রচুর ক্রেতার উপস্থিতি রয়েছে। হাটের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। তবে বেশির ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।

হাটে মাস্কবিহীন ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, এ পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা দরকার। শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের হাটে না আসার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে হাট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর