chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

টাকা আত্মসাতের জন্য ছিনতাই গল্প সাজায় টিংকু

নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরের আখতারুজ্জামান সেন্টারের দি সন্দীপ নামে একটি জুয়েলার্সের কর্মচারী সুদীপ্ত সাহা প্রকাশ টিংকু। দীর্ঘদিন নিষ্ঠার সাথে কাজ করে, অর্জন করে দোকানের স্বত্বাধিকারী প্রদীপ বণিকের বিশ্বস্ততা।

নির্দ্বিধায় তার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের লেনদেনের সম্পন্ন করতেন প্রদীপ। মালিকের বিশ্বস্ততায় ফায়দা লুটে টিংকু সাজালেন টাকা আত্মসাতের গল্প। তবে পুলিশের ব্যাপক তদন্তের মুখে শেষ রক্ষা হয়নি টিংকুর।

শনিবার (১০ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে ডবলুমরিং থানা পুলিশ এমন ছিনতাইয়ের খবর জানিয়েছে।

পুলিশ জানায়, দি সন্দীপ জুয়েলার্সে দুই বছরের বেশি সময়ে কাজ করে আসছিল টিংকু। জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী বণিকের এটিএম কার্ডের সব পিনই জানা ছিল তার।

শুক্রবার (৯ জুলাই) সকালে আগ্রাবাদ সিএন্ডএফ ভবনের চারটি এটিএম বুথ থেকে তিন লাখ করে ১২ লাখ টাকার তোলার জন্য তাকে এটিএম কার্ড দেন বণিক। কিন্তু দুপুরেও টিংকু না ফেরায় এবং ফোন বন্ধ থাকায় খোঁজ শুরু করেন বণিক। পরে থানায় ডাকাতির অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর তদন্ত নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এক পর্যায়ে টিংকু বান্দরবানে অবস্থান করছেন বলে জানতে পারে পুলিশ।

টাকা আত্মসাতের জন্য ছিনতাই গল্প সাজায় টিংকু
টিংকুর আত্মসাতের গল্প জানালেন সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পংকজ দত্ত।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন সাংবাদিকদের জানান, উদ্ধারের পর টিংকু পুলিশকে জানায় টাকা তোলার পর ডিবি পরিচয়ে চার-পাঁচজনের একটি দল কালো মাইক্রোবাসে টিংকুকে তুলে নেয়। এক পর্যায়ে তার কাছে ১২ লাখ ছিনিয়ে নেয়।

টিংকুর কাছ থেকে ইয়াবার পাওয়ার কথা বলে ভয় ভীতি দেখিয়ে বান্দরবানে নিয়ে যায়। সেখানে তার হাত ও চোখ বেধে পাহাড়ে ছেড়ে দেয়। কিন্তু তদন্তে বুথের সামনে মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের মধ্যে বিভিন্ন অসঙ্গতি ধরা পড়ে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রাত একটায় টিংকু ১২ লাখ টাকা নিজেই আত্মসাতের কথা স্বীকার করে। নিজেই বিকেল চারটায় ফোন করে ডাকাতির গল্প সাজান।

এরপর কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা এলাকায় তার বোনের বাসা থেকে ১১ লাথ ৯৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে একটি কালো রঙের ব্যাগ ও চারটি ব্র্যাক ব্যাংকের ভিসা কার্ড জব্দ করে। গ্রেফতার সুদীপ্ত সাহা প্রকাশ টিংকুর (৩৫) বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার তিন নম্বর ওয়ার্ডের মহাজন বাড়ি। সে অসম সাহার ছেলে।

আরকে/এএমএস/চখ

এই বিভাগের আরও খবর