chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

জেলা প্রশাসনের ১৪ ম্যাজিস্ট্রেটের ৮০ মামলা

খেলা ডেস্ক: করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম নগর জুড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে।

১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পৃথক পৃথক অভিযানে লকডাউন অমান্য করায় ৮০ মামলায় শতাধিক ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ২৮ হাজার তিনশ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে সচেতন করা হয়।

আজ শুক্রবার (৯ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা শহরের বিভিন্ন থানার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা আদায়ের তথ্য দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জানা যায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোজাম্মেল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে নগরীর চকবাজার ও বাকলিয়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানে তিনি ১০ মামলায় মোট ৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।

নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনিক। তিনি ৯ মামলায় ১ হাজার ৮শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।

সদরঘাট ও ডবলমুরিং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইনামুল হাছান। তিনি ৬ মামলায় ১ হাজার ১ শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। ডবলমুরিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ মামলায় ২ শ টাকা জরিমানা আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা ইসলাম।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী অভিযান চালান খুলশী ও আকবরশাহ এলাকায়। এ অভিযানে তিনি ১২ মামলায় মোট ২ হাজার ৮ শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাজিব হোসেনের নেতৃত্বে খুলশী ও বায়েজিদ এলাকায় পরিচালিত অভিযানে ৫ মামলায় ১১ শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।

চকবাজার ও বাকলিয়া এলাকায় মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করে ৭ মামলায় ১ হাজার ৭ শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিল্লুর রহমান। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরজাহান আক্তার সাথী কোতোয়ালী ও সদরঘাট এলাকায় মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করে ৫ মামলায় ১৮ শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।

পাহাড়তলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তাহমিনা সারমিন। তিনি ৪ মামলায় ১১ শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন।পাশাপাশি হালিশহর ও মুরাদপুর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২ মামলায় ২ হাজার ৫ শ টাকা জরিমানা আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস।

চকবাজার এলাকায় মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। তিনি ১০ মামলায় ৪ হাজার ৯শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন। অন্যদিকে হালিশহর ও ডবলমুরিং এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৭ টি মামলায় মোট ২ হাজার ২ শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মুহাম্মদ।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বিস্তার রোধ করার লক্ষ্যে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর