chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টিকারীরা রাষ্ট্রের শত্রু: সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টিকারীরা দেশ ও রাষ্ট্রের শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন

সৌদিআরবে অবস্থানরত অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় তিনি সারাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধিসহ হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীর শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শুরু থেকে কোভিড মোকাবেলায় অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি, কোভিড রোগীর শয্যাবৃদ্ধিসহ ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম মওজুদ করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সে নির্দেশনাকে অবজ্ঞা ও অবহেলা করেছে। যার ফলে কোভিডের সামান্য ঢেউয়ে উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে মারাত্মক বিপর্যয়কর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মতো এখানেও যদি সে রকম ঢেউয়ের সৃষ্টি হয় তাহলে কি পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন।

তিনি আরো বলেন সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে বারবার নির্দেশনা প্রদান করলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সে নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে পালন করছে না।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন তাহলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কি সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকেও শক্তিশালী? কি কারণে সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে তা জাতি জানতে চায়।

এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ঢেউয়ের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে জনগনকে একাধিকবার সতর্ক করেছেন। কঠোর বিধিনিষেধ, লকডাউনসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনার মধ্য দিয়ে জনগনকে ঘরে রেখে করোনা সংক্রমণ কমাতে নানামূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

বারবার নির্দেশনা প্রদান করা হলেও জনগন মাস্ক পরা কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে চরম উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছেন। ঈদে বাড়ি যেতে নিষেধ করা হলেও গাদাগাদি করে অনেকে বাড়ি গিয়েছেন এবং বাড়ি থেকে ফিরেছেন।

যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে উল্লেখযোগ্য হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিনই মৃত্যু এবং সংক্রমণ রেকর্ড ছাড়াচ্ছে।

সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষা করে যারা বাড়িতে গিয়েছেন সে সকল এলাকার অধিবাসীরাই বেশি সংখ্যক করোনায় সংক্রমিত হচ্ছেন।

বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমাজের গরীব অসহায় ভূমিহীন পরিবারকে পূনর্বাসন করার লক্ষ্যে সারাদেশে লাখো লাখো পরিবারকে গৃহনির্মাণ করে দিয়েছেন। যা দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিকভাবেও প্রশংসিত হয়েছে।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পটি ভন্ডুল করার জন্য ওত পেঁতে রয়েছে এক শ্রেণীর কুচক্রীমহল। যারা সরকারের ভালো উদ্যোগগুলোকে বিভিন্ন কলাকৌশলে বিতর্কিত করতে চায়।

পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকা সত্বেও দেশের বিভিন্ন জেলায় আশ্রয়ন প্রকল্পসমূহে গৃহ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অনেক গৃহ ইতোমধ্যে ভেঙ্গে পড়েছে। এসব নির্মাণ কাজের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। এদের মুখোশ উম্মোচন করতে হবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাসমূহ মাঠপর্যায়ে যারা বারবার উপেক্ষা করছে তাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবী জানান সুজন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আশ্রয়ন প্রকল্পের দূর্নীতির সাথে জড়িতদের দেশ ও রাষ্ট্রের শত্রু বলে আখ্যায়িত করে সুজন বলেন কোন অবস্থাতেই গুটি কয়েক অপরাধীর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্জনসমূহকে কোনভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর