chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত আনোয়ারা খামারিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘনিয়ে আসছে ঈদুল আযহা (কোরবানির ঈদ)। তাই কোরবানির ঈদ ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার খামারিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণ নিয়ে।

এবার অনেকটাই উপজেলার কোরবানির চাহিদা মেঠাবে স্থানীয় খামারিদের পশু। চাহিদা মেঠাতে স্থানীয় পশু যথেষ্ট হলেও করোনা সংকটের কারণে প্রেক্ষাপট ভিন্ন হতে পারে বলে ধারণা করছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা।

তাদের মতে, গত বছর স্থানীয়রা কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণ করেছিল ২১ হাজার গবাদি পশু। সর্বশেষ কোরবানির হাটের শেষের দিকে সংকট পড়েছিলো গবাদি পশুর। তবে গতবারের চেয়ে এবার আরো কম সংখ্যক পশু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। যা অনেকটা কোরবানের পশুর বাজারে প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

করোনা সংকটের ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় তারা এবার কোরবানি নাও দিতে পারেন। যে কারণে দাম সহনীয় পর্যায় ও সংকট না হওয়ার কথাও বলছেন অনেকে।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে উপজেলায় কোরবানির চাহিদা রয়েছে ১৪ হাজারের মত। তবে পশুর চাহিদা ১৪ হাজার থাকলেও এবারে কোরবানি উপলক্ষে আনোয়ারা উপজেলায় ১৫ হাজার ৮৭৬টি পশু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। যার মধ্যে ষাঁড় হচ্ছে ৬ হাজার ১৮২টি, বলদ ৭০৭টি, গাভী ১০৯৮টি, মহিষ ৪ হাজার ৪২১টি, ছাগল ২ হাজার ৫৪৯টি এবং ভেড়া ১০৯টি। এসব পশুর খামারিরা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রক্ষা করে সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে গরু মোটাতাজাকরণ করছে। গরু পালনে খামারিরা এবার ভালো লাভের আশা করছেন। তবে তাদের শঙ্কা শুধু বাইর থেকে গরু আসা ও রোগবালাই নিয়ে।

আনোয়ারা ডেইরী ফার্মাস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসেন বলেন, গো খাদ্যের দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। তাই করোনা আর লকডাউনের মধ্য খামারিরা চরম বিপাকে পড়েছে। আমরা সরকারের কাছ থেকে গো খাদ্যের কমানোর জন্য জোর দাবি জানায়। গো খাদ্যের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে পশু মোটাতাজাকরণে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে হবে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বছরের শুরু থেকে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছি। ইতিমধ্যে স্থানীয়ভাবে যা মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে তা স্থানীয় চাহিদা মেঠাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, রোগবালাই থেকে গবাদিপশু মুক্ত রাখতে আমরা রীতিমত খামার ভিজিট করছি এবং খামারিদের নিয়মিত পরামর্শ ও বিভিন্ন প্রাথমিক চিকিৎসার কার্যক্রম চলমান রেখেছি।

এসএএস/এএমএস/চখ

এই বিভাগের আরও খবর