chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে প্রবেশ মুখে সর্তক অবস্থানে সেনাবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক: কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে চট্টগ্রামের প্রধান প্রবেশ মুখসহ নগরে অলি-গলিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বৃহস্পতিবার (১জুলাই) ভোর থেকে নগরের সিটি গেইট এলাকায় স্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালান সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ফলে প্রয়োজনের বাইরে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষদের জবাবদিহীতার মুখে পড়তে হচ্ছে।

এর পাশপাশি চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন সড়কের মধ্যে সাতকানিয়া, কেরানীরহাট, ফৌজদারহাট, জোরারগঞ্জ, অক্সিজেন, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, বায়োজিদ লিংক রোডে জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে সর্তক অবস্থান নিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‍্যাব) ও আনসার সদস্যরা। নগরের অলি-গলিতে টহল দিচ্ছে পুলিশ সদস্যরা।

চট্টগ্রামে প্রবেশ মুখে সর্তক অবস্থানে সেনাবাহিনী
নগরীর সিটি গেইট এলাকায় স্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে চলছে সেনা সদস্যদের তল্লাশি। আলোকচিত্রী এম ফয়সাল এলাহী

এদিকে উপজেলাগুলোতে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সহকারী কমিশনার (ভূমি) আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি দেখভাল করছেন।

গতকাল বুধবার (৩০জুন) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক জরুরি সভায় চট্টগ্রামের সাতটি প্রবেশ পথে স্থায়ী টেকপোস্টের কথা জানিয়েছিল জেলা প্রশাসন মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। সভায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক সদস্য কাজ করার কথা বলা হয়েছিল।

চট্টগ্রামে প্রবেশ মুখে সর্তক অবস্থানে সেনাবাহিনী
নগরের অলি-গলিতে টহল দিচ্ছে বিজিবি সদস্যরা। আলোকচিত্রী এম ফয়সাল এলাহী

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও স্টাফ অফিসার ওমর ফারুক চট্টলার খবরকে বলেন, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল থেকেই সেনাবাহিনী, র‍্যাব, আনসার,পুলিশ, বিজিবিসহ আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন শুরু করছেন। এর পাশপাশি জেলা প্রশাসনের ১২ জন নির্বার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছে। জরুরি সেবার আয়তায় থাকা বিষয়গুলো নজরে রেখেই কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণের বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় (৩০জুন) লকডাউনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। সাত জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলা এই বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি পরিবহন সেবা, সরকারি দপ্তর, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব ধরণের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনীয় দ্রব্যদির দোকানপাট বিকেল পাঁচটা এবং হোটেল ও রেস্তোরাঁ আটটা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে না। তবে সেখানে বসে খাওয়া যাবে না। বন্ধ থাকবে শপিং মল।

আরকে/নচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর