chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সবাই একটু সাবধানে থাকবেন: প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ: সারা দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে সাবধানে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৭ জুন) ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার-১৪২৪’ প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

এ সময় তিনি বলেন, যেহেতু করোনায় মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ব্যাপক হারে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে গেছে। কাজেই সবাই একটু সাবধানে থাকবেন। নিজেকে নিরাপদে রাখবেন, নিজের পরিবারকে নিরাপদে রাখবেন। স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলবেন। নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন।

‘এটা আমার বিশেষভাবে অনুরোধ। এই অবস্থা আমরা মোকাবিলা করতে পারবো। সে বিশ্বাস আমাদের আছে। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনাদের সকলের সহযোগিতা আমরা চাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যে উন্নয়ন তাতে আমরা যথেষ্ট এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো- এই করোনা আসার পর বাংলাদেশ শুধু নয়, বিশ্বব্যাপী একটা স্থবিরতা এসে গেছে। যেটা সব থেকে দুঃখজনক।

‘আমাদের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশের জন্য সব থেকে কষ্টকর। আমরা ইতোমধ্যেই করোনাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষ যেন কষ্ট না পায় তার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা সাধারণ মানুষের জন্য যতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছিলেন পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় আসে তারা একে একে সবই বন্ধ করে দেয়। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য- এই বাংলাদেশে আমরা দেখেছি ১৯৯১ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসে, কৃষকরা সারের জন্য আন্দোলন করেছিল, ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছিল, কৃষক সার পায়নি- পেয়েছিল গুলি।

শেখ হাসিনা বলেন, তখন আমরা বলেছিলাম‑ আমরা আওয়ামী লীগ যদি সরকারে আসি সারের জন্য কৃষকদের গুলি খাওয়া তো দূরের কথা দৌড়া-দৌড়িও করতে হবে না।

‘কৃষকের ঘরে (সার) পৌঁছে দিব। সেই সময় আমরা স্লোগান তুলেছিলাম, কৃষক বাঁচাও দেশ বাঁচাও। কৃষকদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছিল খালেদা জিয়া সরকার।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া এবং তাদের খাদ্য নিরাপত্তা দেয়া। সেই জন্য ভোট ও ভাতের অধিকার আন্দোলন আমরা শুরু করি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সরকার গঠন করার পরপরই কৃষিকে সব থেকে গুরুত্ব দিয়েছি। জাতির পিতার নির্দেশিত পথেই আমরা আমাদের যাত্রা শুরু করি। সেই ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। পার্লামেন্টে আমরা যখন ঘোষণা দেই যে, বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, বিএনপি থেকে তখন প্রতিবাদ করে।

এ সময় ২০০৮ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে কৃষির উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপি’র কথাই ছিল খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না। কেন? বিদেশ থেকে সাহায্য পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ সারাজীবন বাংলাদেশ অন্যের কাছে হাত পেতে চলবে, ভিক্ষা করে চলবে।

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটা কথা বলতেন, ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা ভিক্ষুক হবো না। আমাদের মাটি আছে, মানুষ আছে। আমরা ফসল ফলাবো। নিজের পায়ে দাঁড়াবো, নিজের খাবার নিজে জোগাড় করবো। আমাদেরও সেই নীতি। ওদের নীতি ছিল কিছুটা ভিন্ন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ব্যাপক বরাদ্দ দিচ্ছি। এখন তো করোনা ভাইরাসের যুগ। মাত্র ১০ টাকায় একজন কৃষক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে।

‘সেই সাথে কৃষি উপকরণের যে টাকা সেটা তাদের কাছে সরাসরি যাতে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যায় সেই ব্যবস্থাটাও আমরা করেছি।’

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর