chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

শুভ জন্মদিন মেসি

ডেস্ক নিউজ: আজ ২৪ জুন, ১৯৮৭ সালের এই দিনে ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসির আজ জজন্মগ্রহণ করেন। আজ তার ৩৪তম জন্মদিন।

মেসির অপ্রাপ্তি বলতে শুধু নিজ দেশ আর্জেন্টিনার হয়ে বড় কোন শিরোপা জিততে না পারা। যদিও এর খুব কাছাকাছি গিয়েছিলেন মেসি। ২০১৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ, ২০১৫ ও ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকায় দলকে তুলেছিলেন ফাইনালে। কিন্তু তিন ফাইনালের একটিতেও শেষ হাসি হাসতে পারেননি মেসি। তিনবারই আটকা পড়েছেন শেষ বাধায়। তবে ব্যক্তি খেলোয়াড় হিসেবে মেসি ছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা।

মেসির ক্যারিয়ারের পুরোটাই বার্সার ছায়াতলে। ১৩ বছর বয়সে আর্জেন্টিনার নিউওয়েলস ওল্ড বয়েস ক্লাব থেকে বিনা ট্রান্সফার ফিতে ন্যু ক্যাম্পে যোগ দেন মেসি। ২০০২ সাল থেকে বার্সা যুবদলের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন।

২০০৩ সালে যোগ দেন বার্সার অনূর্ধ্ব-১৬ দলে। এরপর বার্সা অনূর্ধ্ব-১৯, বার্সা সি দল এবং বার্সা বি দলের হয়ে খেলা সম্পন্ন করে ২০০৫ সালে ১ জুলাই থেকে বার্সার মূল দলে ঠাই হয় তার।

এরপর থেকেই বিশ্বফুটবলের অন্যতম সেরা তারকায় পরিণত হন মেসি। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মেসি বার্সেলনার হয়ে ৭৩১ ম্যাচ খেলে ৬৩৪টি গোল করেছেন।

তার মধ্যে লা লিগায় ৪৮৫ ম্যাচে ৪৪৪ গোল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৪৩ ম্যাচে ১১৫ গোল, কোপা দেল’রে তে ৭৫ ম্যাচে ৫৩ গোল, সুপার কোপায় ১৯ ম্যাচে ১৪ গোল, ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপে ৫ ম্যাচে ৫ গোল ও উয়েফা সুপার কাপে ৪ ম্যাচে ৩ গোল রয়েছে তার।

মেসির এসিস্টে গোলের পরিসংখ্যান ঈর্ষণীয়। তার বানিয়ে দেয়া বলে লা লিগায় ৪৮৫ ম্যাচে ২০১ গোল, চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৪৩ ম্যাচে ৩৯, কোপা দেল’রে তে ৭৫ ম্যাচে ৩৬, সুপার কোপায় ১৯ ম্যাচে ৫, ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপে ৫ ম্যাচে ১ ও উয়েফা সুপার কাপে ৪ ম্যাচে ৩ গোল হয়েছে।

মেসি তার পুরো ক্যারিয়ারে বার্সার হয়ে ৫৯ হাজার ৩১৫ মিনিট মাঠে ছিলেন। তার মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৯ হাজার ১২০ মিনিট খেলেছে লা লিগায়। সর্বনিম্ন ৪২০ মিনিট খেলেছেন উয়েফা সুপার কাপে। পুরো ক্যারিয়ারে হলুদ কার্ড দেখেছেন ৭৫টি। লাল কার্ড একটিও দেখেননি।

বর্তমান সময়ের এ সেরা তারকা ৬ বার ফিফার বর্ষসেরে খেলোয়াড় হয়েছেন। ব্যালন ডি অর জিতেছেন ৬ বার। বার্সার হয়ে চারবার জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ১০ বার স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নের ট্রফি ও ৬ বার স্প্যানিশ কাপ জেতেন এ মহাতারকা।

নচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর