chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

করোনার কারণে কারও সঙ্গে দেখা করতে পারি না: প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ: করোনার কারণে কারও সঙ্গে দেখা করতে না পারায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘করোনায় সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছি আমি। করোনার কারণে কারও সঙ্গে দেখা করতে পারি না। সভা-সমাবেশে যেতে পারি না। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছিলাম বলে এখন ভার্চুয়াল সভায় যোগ দিতে পারি।’

বুধবার (২৩ জুন) ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিজ্ঞা ছিল, বাংলাদেশ আমার বাবা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। বাংলাদেশকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ও চিন্তা, সেটা কখনো ব্যর্থ হতে পারে না। সেটাকে ব্যর্থ করার চেষ্টা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নাম মুছতে চেষ্টা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ যখন সৃষ্টি হয়, তখন থেকেই মুসলিম লীগ আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে।

‘আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান, জিয়াউর রহমান, জেনারেল এরশাদ এবং খালেদা জিয়া প্রত্যেকে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে চেয়েছেন। কত মানুষকে তারা হত্যা করেছেন? লক্ষ্য একটাই আওয়ামী লীগকে শেষ করা। কেন? আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে গরিব দুঃখী মানুষের পেটের ভাত হয়, মাথাগোঁজার ঠাঁই পায়, চিকিৎসা পায়, লেখাপড়ার সুযোগ পায়। এটা বোধহয় কিছু শ্রেণির পছন্দ না।’

তিনি বলেন, ‘এই সংগঠন মাটি ও মানুষ থেকে উঠে এসেছে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে মুসলিম লীগ সরকারের বিরোধিতা করে এ সংগঠন গড়ে উঠেছে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে যে সংগঠনের প্রতিষ্ঠা হয়েছে, সেই সংগঠনকে এতো সহজে শেষ করে দেয়া যায় না। সাময়িক আঘাত আসে, এটা ঠিক।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ভেতরের লোকেরাও দলের ক্ষতি করেছে। বহুবার আওয়ামী লীগ ভেঙেছে। মওলানা ভাসানী, ড. কামাল, আবদুর রাজ্জাকরা চলে গিয়ে নতুন দল করেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ তো হীরার টুকরো, যতবার ভেঙেছে আরও জ্বলজ্বল করেছে, নতুনভাবে জ্যোতি ছড়িয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, দেশে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সব দিক থেকে উন্নতি করেছে। আজকে বিশ্বে একটা মর্যাদা পেয়েছে। এ জন্য আমি কৃতজ্ঞতা জানাই সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও জনগণের প্রতি। সুযোগ পেয়েছি বলেই দেশকে সাজানোর সুযোগ হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা সবার আগে টিকা নিয়েছেন, তারাই এখন সমালোচনা করছেন। সমালোচনার আগে বিশ্বের পরিস্থিতি বুঝতে হবে। যেটা চার ডলারে কিনেছি, সেটা ১৫ ডলারে কিনতে হচ্ছে। সামনে হয়তো আরও দাম বাড়বে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আগেই টাকা দিয়ে সব ঠিক করে রেখেছিলাম। কিন্তু এটা আন্তর্জাতিক বিষয়, আমাদের হাতে না। ভবিষ্যতে গবেষণা করে টিকা তৈরির জন্য সব প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। ফার্মাসিউটিক্যাল দরকার, ইনস্টিটিউট তৈরি করার ব্যবস্থা নিচ্ছি। যারা সমালোচনা করছেন, তারা দেখেন- আমরা কী করতে পারি। তারপর সমালোচনা করেন।’

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর