chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ঠুঁটো জগন্নাথ বিআরটিএ: সুজন

স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধিও। এমন সময় বিআরটিএ’র ঠুঁটো জগন্নাথের ভূমিকায় যাত্রী সাধারণের মনে ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

আজ বুধবার (২৩ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলার কথা থাকলেও চট্টগ্রাম শহর এবং শহরের আশেপাশে কোথাও তা মানা হচ্ছে না।

এক সিটে যাত্রী পরিবহন করে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির কথা বলা হলেও উভয় সিটে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার নেই কোন বালাই। উপরন্তু গাদাগাদি করে যাত্রী তোলা হচ্ছে। অন্যদিকে যাত্রীদের পকেট থেকে কাটা হচ্ছে দ্বিগুণ অংকের টাকা।

এমতাবস্থায় বিআরটিএ কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করার কথা থাকলেও তাদের ভূমিকায় হতাশ সাধারণ যাত্রীগণ।

প্রতিদিন গণপরিবহনে এ নিয়ে যাত্রীর সাথে চালক ও হেলপারের কথা কাটাকাটি হয়। অনেক সময় কথা কাটাকাটি মারামারিতে রূপান্তরিত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ছেড়া সীট, চলাচলের অযোগ্য, ফিটনেস বিহীন লক্কর ঝক্কর মার্কা গাড়ীগুলি প্রতিদিনই নগরীতে যাত্রী পরিবহন করে।

অনেক চালক অপ্রাপ্তবয়স্ক, যাদের নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্সও। এসব ফিটনেসবিহীন গাড়ী প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার সৃষ্টি করে জানমালের ক্ষতি সাধন করে।

সুজন বলেন, বিআরটিএ’র এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলাচল অযোগ্য এসব গাড়ী রাস্তায় চলাচল করছে বলে যাত্রী সাধারণের দীর্ঘদিনের অভিযোগ। তাদের নির্লিপ্ততার কারণেই মূলত পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে নগরবাসী।

অনেক ক্ষেত্রে তারা প্রশাসনের সামনেই সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। প্রায় গণপরিবহনে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করলেও বিআরটিএ মাঝে মাঝে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মধ্য দিয়ে হাতে গোনা কয়েকটি মামলা দিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করে থাকে।

বিকেলের পর পরই মানুষের দুর্ভোগ আরো চরমে উঠে। তাছাড়া সেসময় প্রশাসনের তদারকি না থাকার ফলে গণপরিবহন শ্রমিকরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।

অফিস ছুটির পর যাত্রীসাধারণ বাধ্য হয়ে দ্বিগুণের বেশি ভাড়া দিয়ে ঠাসাঠাসি করে বাসে যাতায়াত করে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন ইপিজেড এলাকার যাত্রীগণ।

অফিস ছুটির পর বেশিরভাগ গণপরিবহন ইপিজেডের কর্মী আনা নেওয়ার কাজে নিয়োজিত হয়ে পড়ে ফলে ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচলরত সাধারণ যাত্রীগণের দুর্ভোগের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে। বছরের পর বছর ঐ রাস্তা দিয়ে চলাচলরত যাত্রীরা এ দুর্ভোগ পোহালেও তাদেরকে এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার কার্যত কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।

পর্যাপ্ত গণপরিবহনের অভাবে অনেক দূর দূরান্ত পর্যন্ত হেঁটে চলাচল করতে হয় যাত্রীদের। যার কারণে বেশিরভাগ যাত্রী সারাদিন অফিস ছুটির পর দীর্ঘ পথ পায়ে হেটে ক্লান্ত শ্রান্ত শরীরে ঘরে প্রবেশ করে।

এ অবস্থা থেকে জনগনকে মুক্তি এবং গণপরিবহনের ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধে বিআরটিএকে সত্যিকার অর্থে কার্যকর ভূমিকা পালন করার আহবান জানান তিনি।

বিআরটিএকে জনগনের ক্ষোভকে প্রশমিত করে জনগনের ভালোবাসার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার উদাত্ত আহবান জানান সুজন।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর