chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও আ. লীগ: দুটি নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত’

ডেস্ক নিউজ: বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দুটি নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘আমাদের মুক্তি আমাদের স্বাধীনতা’ শীর্ষক দেশাত্মবোধক সঙ্গীতের সিডি মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পরই তখনকার “ড্রয়িংরুমভিত্তিক রাজনীতি” জনগণের কাছে যায়। প্রথমে আওয়ামী মুসলিম লীগ নাম হলেও পরে “মুসলিম” শব্দটি বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ একটি অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

‘১৯৫৬ সালের আগ পর্যন্ত পাকিস্তানের কোনো সংবিধান ছিল না। নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান রচিত হয়।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা ঘোষণা করে স্বাধীনতার লক্ষ্যে বাঙালির মনন তৈরি করেছিলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের হয়েই সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়েছিলেন এবং আওয়ামী লীগ ধস নামানো বিজয় অর্জন করেছিল।

‘তার পরিপ্রেক্ষিতেই অসহযোগ আন্দোলন এবং পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা ঘোষণা, স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন। সে কারণেই আজকে বাংলাদেশের সমস্ত অর্জনের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম জড়িয়ে আছে।’

হাওয়াইয়ান গিটার শিল্পী পরিষদের উদ্যোগকে অভিনন্দন জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের এই বাঙালি সংস্কৃতিটা হারিয়ে যেত। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল বিধায় আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের ভাষা আমরা রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছি।

‘শুধু তাই নয়, আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। “আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি তোমাকে ভুলিতে পারি”-এই গান এখন সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন ভাষায় বাজানো হয়।’

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর