chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বাসায় ফিরেছেন আবু ত্ব-হা, পুলিশ বলছে আত্মগোপনে ছিলেন

ডেস্ক নিউজ: আট দিন নিখোঁজ থাকার পর ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা আদনান রংপুরের বাসায় ফিরেছেন। প্রথম স্ত্রীর বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ।

গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত কারণে গাইবান্ধায় বন্ধুর বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন ত্ব-হা। পরে তিনি রংপুরে প্রথম স্ত্রীর বাসায় চলে আসেন। সেখান থেকেই তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৮ জুন) দুপুরে জুমার নামাজের সময় রংপুর নগরীর চার তলা মোড় মাস্টারপাড়ায় তার শ্বশুর বাড়িতে ফেরেন তিনি। পরে বিকেল তিনটায় তাকে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জুমার নামাজের সময় আবু ত্ব-হা আদনান একাই শ্বশুর বাড়িতে ফিরে আসেন। এ সময় তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন। শ্বশুর বাড়িতে এসে পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই তিনি কথা বলেন। এছাড়াও এলাকাবাসীর সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন।

তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবেই তিনি কথাবার্তা বলছিলেন। তবে এই আট দিনে তিনি কোথায় ছিলেন, কীভাবে ছিলেন এসব বিষয়ে তিনি এখনো কিছু বলেননি স্বজনদের।

সংবাদ সম্মেলনে রংপুর মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ক্রাইম ডিভিশনের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন বলেন, মা ও ভাইয়ের জিডির সূত্রে আমরা (ত্ব-হার) অনুসন্ধান করতে থাকি।

আজকে আমরা গোপন সূত্রে জানতে পারি ত্ব-হা তার (রংপুর নগরের) চারতলার মসজিদে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আছেন। সেই সংবাদ পেয়ে আমরা তাকে নিয়ে আসি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে আমরা অপর সঙ্গীদেরও সন্ধান পাই।

আবু মারুফ হোসেন বলেন, গাইবান্ধায় বন্ধু সিয়ামের বাসায় ব্যক্তিগত কারণে আত্মগোপনে ছিলেন চারজনেই। বন্ধু বাসায় না থাকলেও তার মায়ের কাছে ছিলেন এরা।

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে ত্ব-হা আত্মগোপনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সফরসঙ্গীরাও তাদের ফোন বন্ধ করে ত্ব-হার কাছে রেখে দেন।

এর আগে গত ১০ জুন দিবাগত রাত থেকে কোনো খোঁজ মিলছিল না আবু ত্বহা, তার দুই সঙ্গী আব্দুল মুহিত, মোহাম্মদ ফিরোজ ও গাড়িচালক আমির উদ্দিনের।

সেদিন বিকেল ৪টার দিকে ওই তিনজনসহ আবু ত্ব-হা রংপুর থেকে ভাড়া করা একটি গাড়িতে ঢাকার পথে রওনা দেন। রাতে মোবাইল ফোনে সর্বশেষ কথা হলে তিনি সাভারে যাচ্ছেন বলে তার মাকে জানান।

এরপর রাত ২টা ৩৬ মিনিটে প্রথম স্ত্রী হাবিবা নূরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয় আদনানের। তিনি সাভার যাচ্ছেন বলেই জানান স্ত্রীকে। তারপর থেকেই তার ফোন বন্ধ থাকায় আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

পরে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি শেষে তাকে না পেয়ে ১১ জুন বিকেলে রংপুর কোতোয়ালি থানায় জিডি করেন ত্ব-হার মা আজেদা বেগম। তার খোঁজ চেয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনও করেন দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিকুন নাহার সারা।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর