পথচারীর বেশে আড়ি পেতে ৫ ইয়াবা কারবারি, ধরল পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক: রোহিঙ্গারা সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিঁয়া থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করছে। পরে সেগুলো চট্টগ্রাম নগরীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করছে।
প্রশাসনও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে আসামি শনাক্ত করতে তাদের কৌশলও পাল্টাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই ধরা পড়ছে ইয়াবা কারবারিরা। সাজা দেয়ার পরও কোনভাবেই যেন শোধরানো যাচ্ছে না তাদের। ইয়াবা পাচারও থামছে না। জেল থেকে বেরিয়ে ফের নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে জড়াচ্ছে ইয়াবা ব্যবসায়।
এমনই একটি চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। সাধারণ পথচারীর বেশে ইয়াবা পাচারকারী রোহিঙ্গাদের কথোপোকথন আঁড়ি পেতে শুনে নেন পুলিশ। এরপর সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের সদস্যদের অবস্থান শনান্তের পর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার (১৫ জুন) থানা সংলগ্ন সরকারি মুসলিম হাই স্কুলের সামনে রাস্তার পাশ থেকে নারী পুরুষসহ ৩ জন এবং পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরো দুজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় থানা পুলিশ।
এসময় তাদের কাছ থেকে মোট ৩ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ৪টি মোবাইল সেট ও ইয়াবা বিক্রির নগদ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. আজিজ (২৩),গোলবাহার আক্তার (৩৮),সাইফুল ইসলাম (২৪), নিজাম খান শুভ (২৮) ও মো. রবিউল হোসেন (২২)।
গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে এর আগেও মাদক আইনে মামলা আছে। তারা সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে এসে ফের ইয়াবা কারবারে জড়িয়ে পড়েছে।
ওসি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সংঘবদ্ধ ইয়াবা কারবার চক্রের আরো বেশ কয়েকজন সদস্যের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে।
তাদের গ্রেফতারে আজ বুধবার ভোর ৪টা থেকে নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন ঈদগাহ বউ বাজার, মাইট্টাইল্যাপাড়া, ইউসুফ মৌলভী সাহেবের বাড়ীসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালায় কোতোয়ালি থানার বিশেষ টিম।
খুব শীঘ্রই সংঘবদ্ধ ইয়াবা কারবারে জড়িত পুরো টিমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবেন আশা রেখে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানার এসআই সুকান্ত চৌধুরী বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য আইনে পৃথক আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে জানায় ওসি নেজাম উদ্দিন।
আরএস/এমআই