কর্ণফুলীতে ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, কিশোর আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের দৌলতপুর এলাকায় ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ১৫ বছরের এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক খলিল (১৫) কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের দৌলতপুর এলাকার মোহাম্মদ হাশেম মিস্ত্রির ছেলে।
আজ বুধবার (১৬ জুন) বিকেলে শিশুর পিতা বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
এদিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ৭ বছর বয়সী ওই স্কুল ছাত্রীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে শিশুটির মা তাকে ঘরে রেখে পাশের একটি বিকাশের দোকানে স্কুলের উপবৃত্তির টাকা তুলতে যায়। এ সময় শিশুটিকে একা পেয়ে পাশের ঘরের খলিল নামের এক কিশোর পার্শ্ববর্তী খৈ ভাজার এক পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায়।
পরে তাকে গলা টিপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। কিছু সময় পর শিশুটির মায়ের আওয়াজ শুনে কিশোর ছেলেটি শিশুটিকে বলতে থাকে তুর মা আসছে তাড়াতাড়ি প্যান্ট পর। এ কথা শুনে যায় ভিকটিমের মা।
এরপর শিশুটি কান্না করে তার মাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের কথা বলতে থাকে। পরে বুধবার সকালে ভিকটিমের পরিবার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল আলমকে জানায়।
ইউপি চেয়ারম্যান এ খবর শুনার সাথে সাথে কর্ণফুলী থানা পুলিশকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তার আগে ইউপি চেয়ারম্যান কিশোরকে আটক করে।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে কিশোরটিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। শিশুটিকে চমেকের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়।
বড়উঠান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দিদারুল আলম জানান, ‘ভিকটিমের পরিবার আমাকে জানানোর পর আমি পুলিশকে খবর দিই। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে ভিকটিম ও ভিকটিমের মা এর নিকট কিশোর খলিলের অমানবিক আচরণের বর্ণনা শুনে হতবাক হয়ে গেলাম। আমি এ কিশোরের বিচার চাই।’
কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ জানিয়েছেন, ‘এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ভিকটিমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ৭ বছর বয়সী ওই স্কুলছাত্রীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের পাঠানো হয়েছে।’
এসএএস/এমআই