chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বর্জ্যের চাপে অস্তিত্ব সংকটে ঐতিহ্যের কর্ণফুলী

ইফতেখার নিলয় : ৭০ লাখ মানুষের বসবাসের নগরী চট্টগ্রামের প্রতিদিনের ২২০০ মেট্রিক টন বর্জ্য পড়ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন-খ্যাত কর্ণফুলী নদীতে। যার ফলে নদীর পানি দূষিত হতে হতে হারিয়েছে তার চিরচেনারূপ। বিলীন হয়ে যাচ্ছে কর্ণফুলীর যৌবন।

একসময় স্থানীয় বাসিন্দারা অনায়াসেই নদী থেকে পানি তুলে পান করতো, তবে বর্তমানে নগরীর বর্জ্য, নদীর তীরে অস্থায়ী বাসিন্দাদের গৃহস্থালীর বর্জ্য ও নদী তীরে গড়ে ওঠা কল-কারখানার আবর্জনা এবং নদীর বুকে চলাচল করা জাহাজের পোড়া তেলও দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে নদীর পানিকে করেছে বিষাক্ত।

বর্তমানে নদীর পানিতে গোসল করলে শরীরে নানা রোগের বাসাও বাঁধে বলে জানান কর্ণফুলী নদীর জেলে আব্বাস আলী।
https://fb.watch/66V2VqNIN_/

স্থানীয় মাঝি আমির আলী চট্টলার খবরকে বলেন, ‘এখনকার নদীর পানি আর আগের নদীর পানির অনেক পার্থক্য। আগে পানি অনেক পরিষ্কার ও সুন্দর ছিলো। এখন শহরের ময়লা ও নদীর পাশের কল-কারখানার বর্জ্য নদীর পানিকে সম্পূর্ণ দূষিত করে দিয়েছে।’

কর্ণফুলী গবেষক অধ্যাপক ড. মো. ইদ্রীস আলী বলেন, ‘কর্ণফুলীকে রক্ষা করতে হলে রাষ্ট্রকে এখানে পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে, ত্যাগ করতে হবে ব্যবসায়িক মনোভাবও।’

চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রামে কোনো সুয়ারেজ পরিকল্পনা নেই, ওয়াসা বিভিন্ন সুয়ারেজ পরিকল্পনা নিয়েছে এবং সরকার তাতে বাজেটও পাশ করেছে কিন্তু মাঠ-পর্যায়ে তার কোনো বাস্তবায়ন নেই।

দেশের অর্থনীতিতে কর্ণফুলীর অবদান অসামান্য। তাই এই কর্ণফুলীর আগের রূপ ফিরিয়ে আনা জরুরি। আর পুরাতন রূপ ফিরিয়ে আনতে হলে নদী রক্ষায় গৃহীত সকল প্রকল্পের সফল প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি।

চখ/এএমএস

এই বিভাগের আরও খবর