বহুল আলোচিত স্কুলছাত্র মুন্না হত্যার রহস্য উদঘাটন
ডেস্ক নিউজ: গাজীপুরের বহুল আলোচিত স্কুলছাত্র তৌসিফুল ইসলাম মুন্না হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
জানা গেছে, মোবাইল ও ক্যামেরা লুট করার সময় বাধা দেয়ায় এবং তাদেরকে চিনে ফেলায় ভিকটিম তৌসিফুল ইসলাম মুন্নাকে হত্যা করা হয়।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই আসামিকে গত সোমবার রাতে গ্রেফতারের পর খুনের রহস্য উদঘাটন হলো।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানার চকমোকামিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৫) ও জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানার জাকিরপাড়ার উসমান আলীর ছেলে মোফাজ্জল (৩১)।
হত্যাকান্ডে গ্রেফতার দুজনই আজ মঙ্গলবার গাজীপুর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করে পিবিআই গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই সকালে গাজীপুর সুমন মার্কেট সাকিনস্থ চন্দ্রিমা হাউজ জনৈক হাবিবুর রহমান এর ৫ম তলা বাড়ির ৪র্থ তলার ভাড়াবাসায় খুন করা হয় স্কুল ছাত্র মুন্নাকে।
হত্যাকান্ডটি তদন্ত করতে গিয়ে বিভিন্ন আলামতের প্রেক্ষিতে দুজনকে শনাক্ত করা হয়। গতকাল সোমবার মধ্যরাত সাড়ে ৩টার সময় গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন গাজীপুরা শিকদার মার্কেট এলাকা থেকে প্রথমে আনোয়ার হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
একই দিন ভোর সোয়া ৪টার সময় গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন গাজীপুর সুমন মাকের্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. মোফাজ্জল নামে আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারের পর দুজনকে আদালতে প্রেরণ করা হলে তারা স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। তিনি আসামিদের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে জানান, ঘটনার দিন সকাল আনুমানিক ৮টায় বাসায় ভিকটিমের মা-বাবা না থাকার সুযোগে ভিকটিম তৌসিফুল ইসলাম মুন্নাকে ডেকে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে এবং মোবাইল ও ক্যামেরা লুট করার সময় ভিকটিম বাধা দেয়।
আসামিরা মুন্নাকে খাটের উপর ফেলে দেয়। এরপর মুখ চেপে ধরে তার পেটে চাকু দিয়ে আঘাত করে নাড়ি ভুড়ি বের করে ফেলে এবং পরবর্তীতে খাটের উপর তাকে জবাই করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে।
পরে আসামিরা ঘরের স্টীলের আলমিরা ভেঙ্গে একটি ডিজিটাল ক্যামেরা ও মোবাইল সেট নিয়ে নেয়। মূলত চুরি করার উদ্দেশ্যেই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন আসামিরা। তাদেরকে চিনে ফেলায় ভিকটিম তৌসিফুল ইসলাম মুন্নাকে হত্যা করা হয়।
উল্লেখ্য, এ ঘটনায় মুন্নার বাবা টঙ্গী পূর্ব থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলা দায়েরের ২ মাস পেরিয়ে গেলেও থানা পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু উদঘাটন করতে না পারায় গাজীপুর পিবিআই পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।
আরএস/এমআই