ডেস্ক নিউজ: জুয়া, মাদক-নারীর নেশা ও দ্বিতীয় বিয়েতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্বামী ময়না মিয়াকে ৬ টুকরো করে খুনের আলামত মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন প্রথম স্ত্রী ফাতেমা খাতুন।
দ্বিতীয় স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রথম স্ত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর বনানী থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে আসামি ফাতেমার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
আজ মঙ্গলবার ( ১ জুন) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরি তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে একই দিন দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ময়না মিয়া হত্যাকাণ্ডের ধরন, মোটিভ এবং অপরাধী সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, সিএনজি চালক ময়না মিয়া দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন প্রথম স্ত্রী। এছাড়া স্বামীর ছিলো জুয়া মাদক ও নারীর নেশা। এসব কারণে স্বামীকে খুনের পর ৬ টুকরা করেন।
আলামত মুছে দিতে বিভিন্ন অংশ ফেলে দেন নগরীর কয়েকটি স্থানে। এলাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় রিকশা ভাড়া করে প্রথমে মাথা ও হাত-পা খণ্ডিত শরীরের মূল অংশ ফেলে দেয় আমতলী এলাকায়।
এরপর মহাখালী বাস-টার্মিনাল এলাকায় এনা বাস কাউন্টারের সামনে খণ্ডিত দুই হাত-পা ভর্তি ব্যাগ রেখে দিয়ে চলে আসে বাসায়। বাসায় এসে সেখান থেকে খণ্ডিত মাথার ব্যাগটি নিয়ে বনানী ১১ নম্বর ব্রিজের পূর্ব প্রান্তে গুলশান লেকে ফেলে দেয় এবং এরপর বাসায় এসে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে থাকে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর মহাখালী থেকে দুপুর ১২ টায় গুলশান বিভাগের গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম বনানী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ময়না মিয়ার খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে।
পরে মরদেহের পরিচয়ের খোঁজে অভিযানে নামে পুলিশ। বনানী থানায় এক অভিযোগের ভিত্তিতে পরিচয় মেলে খণ্ডিত মরদেহের। নাম ময়না মিয়া, থাকতেন করাইল বস্তিতে।
দ্বিতীয় স্ত্রী অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। দুপুরে বনানী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিহত ময়না মিয়ার প্রথম স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়।
সেখান থেকেই টুকরা করা লাশের রহস্য উন্মোচন করে ডিবি। এই ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত কিনা তা অনুসন্ধান করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
আরএস/এমআই