হালদায় ‘নমুনা ডিম’ ছেড়েছে মা মাছ
ডেস্ক নিউজ: দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ।
মঙ্গলবার (২৬ মে) দিবাগত রাতে হালদা নদীর কয়েকটি স্পটে নমুনা ডিম ছাড়ে কার্প জাতীয় মা মাছ।
ডিম সংগ্রহকারীরা জানান, মঙ্গলবার কয়েক দফা বৃষ্টি হওয়ায় ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। এরপরও এদিন মা মাছগুলো পুরোদমে ডিম ছাড়েনি।
এবার মা মাছ রক্ষায় হালদা নদীতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করায় ডিম সংগ্রহে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
সাধারণত চৈত্র থেকে বৈশাখ মাসে অমাবস্যা, পূর্ণিমা ও অষ্টমী তিথিতে প্রবল পাহাড়ি ঢল ও শীতল আবহাওয়ায় কার্প জাতীয় মাছ নদীতে ডিম ছাড়ে। নমুনা ডিম মা মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের জন্য প্রস্তুতির আভাস। অনুকূল পরিবেশ তৈরি হলেই মা মাছ ডিম ছাড়ে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, ডিম ছাড়ার আগে মা মাছ ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ আছে কি না তা যাচাই করতে অতি সামান্য ডিম ছাড়ে যাকে নমুনা ডিম বলে। মঙ্গলবার সেটাই ছেড়েছে।
হালদা নদী থেকে ২০১৮ সালে ২২ হাজার কেজি এবং ২০১৯ সালে ১০ হাজার কেজি ডিম আহরণ করা হয়। আর ২০২০ সালে ২৫ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ করে রেকর্ড করেছে ডিম আহরণকারীরা।
হালদা নদীর মদুনাঘাট বড়ুয়া পাড়ার বাসিন্দা ও ডিম সংগ্রহকারী আশু বড়ুয়া বলেন, আমি ৪০ বছর ধরে ডিম সংগ্রহ করছি। আমার বাপ-দাদাও ডিম সংগ্রহ করতো। সেই অভিজ্ঞতায় বলে- জোয়ারে নমুনা ছাড়লে পরের ভাটায় পুরোপুরি ডিম ছাড়ে মা মাছ। আবার ভাটায় নমুনা ডিম ছাড়লে পরের জোয়ারে মা মাছ ডিম ছাড়ে। তবে পরিবেশ অনুকূলে না হলে পরের জোয়ারে বা ভাটায় ডিম না ছেড়ে মা মাছে আরেকটি জোয়ারের জন্য অপেক্ষা করে মা মাছ। তাই যতক্ষণ না পুরোদমে ডিম ছাড়ছে মা মাছ ততক্ষণ নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।
এসএএস/নচ