মিরসরাইয়ে গৃহবধূকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় স্বামী গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিরসরাই উপজেলার শাহেরখালী ইউনিয়নে ৪ মাসের অন্তঃঃসত্ত্বা গৃহবধু সেলিনা আক্তারকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী আলতাফ হোসেনকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহতের মায়ের দায়েরকৃত মামলার সূত্র ধরে পুলিশ শনিবার নিজ বাড়ি থেকে আলতাফকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে রাত ৮টায় সেলিনার লাশ দাফন করা হয়েছে। ওইদিন রাতেই সেলিনা আক্তারের মা মনোয়ারা বেগম প্রকাশ মনাধন (৬৮) বাদি হয়ে সেলিনার স্বামীকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে মিরসরাই থানায় মামলা দায়ের করেন।
শনিবার (২২ মে) মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার হওয়া আলতাফ হোসেন শাহেরখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিন মঘাদিয়া ঘোনা গ্রামের সাতভাইয়ের বাড়ির রবিউল হোসেন (৭৫) এর ছেলে। নিহত সেলিনা মঘাদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড এর হাসেম নগর গ্রামের মকবুল আহমদ বাড়ির মৃত শফিউল আলমের মেয়ে।
৮ মাস আগে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক ৫ লাখ টাকা কাবিন মূলে পারিবারিকভাবে দুজনের বিয়ে হয়ে। বিয়ের ২/৩ মাস স্বামী স্ত্রীর সংসার ভালোভাবেই চলছিলো।
কিন্তু গত কয়েক মাস যাবত সেলিনার উপর তার স্বামী কারণে অকারণে অত্যাচার ও মারধর
করে আসছিল। গত ২ মে রাতেও সেলিনাকে শারীরিক অত্যাচার করে স্বামী।
সেলিনা তার ছোট বোন নার্গিসকে ফোনে নির্যাতনের কথা জানিয়ে তাকে নিয়ে যেতে বলে। ২১ মে শুক্রবার তাকে নিজের বাড়ি নিয়ে আসার কথা ছিলো। তার আগেই ভোর সাড়ে ৫টায় সেলিনার চাচি তাহমিনার মোবাইল ফোনে শাহেরখালি ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবাদের রহমান জানায় সেলিনা আত্মহত্যা করেছে।
এ ঘটনায় সেলিনার মা মনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে ২১ মে শুক্রবার মিরসরাই থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার প্রধান আসামী সেলিনার স্বামী আলতাফ হোসেন (৩৮) ছাড়াও অন্যান্য আসামীরা হলেন, বেলায়েত হোসেন (৩৫), নাছিমা আক্তর (২৫), ইমাম হোসেন (২৩)।
মিরসরাই থানার পরিদর্শক (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামী আলতাফ হোসেনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে এবং মামলাটির তদন্ত চলছে বলে জানায় ওসি।
উল্লেখ্য গত ২১ মে শুক্রবার গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় রান্না ঘর থেকে সেলিনার লাশ উদ্ধার করে মিরসরাই থানা পুলিশ।
চখ/আরএস/এমআই