chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

রাজশাহীতে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু

বিভাগীয় ডেস্ক :  রাজশাহীতে গাছ থেকে আম পাড়া ও বাড়ির আঙিনায় আম কুড়াতে গিয়ে চিরতরে নিভে গেল তিনটি তাজা প্রাণ। তাছাড়া জমি থেকে ধান নিতে গিয়ে মারা যায় আরো একজন।

একইদিনে পৃথক ঘটনায় মর্মান্তিক এ চারটি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রাজশাহী জেলায়। শনিবার বিকেলে ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে বাগমারায় তিনজন ও বাঘায় একজন।

এদের মধ্যে নদীর পাড়ে গাছে আম পাড়তে গিয়ে মারা গেছে রাজশাহী বাঘমারা দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের এছার আলীর ছেলে বাবু ইসলাম (২৩), একই গ্রামের মৃত সাইদুল চৌকিদারের ছেলে রনি ইসলাম (৩৩)। এ ঘটনায় আরো ২ জন আহত হয়।

তাছাড়া বাগমারার হাজড়া পাড়া গ্রামের নিজাম উদ্দিন (৫৫) এর মৃত্যু হয়েছে ধান কাটতে গিয়ে এবং বাড়ির আঙিনায় আম কুড়াতে গিয়ে মারা গেছে রাজশাহী বাঘার বাউসা ইউনিয়নের চকরপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলাম বাবু (৩২)।

বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভাল সুলতানপুর তালতালি নদীর পাড়ের একটি আমগাছে উঠে আম পাড়ছিল দুর্গাপুরের বাবু ও রনিসহ চারজন।

হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয় এবং বজ্রপাতের আঘাতে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয় চারজনই। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে তাহেরপুর একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে বাবু ও রনিকে মৃত ঘোষণা করে। বাকি দুইজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ওসি বলেন,পৃথক অপর আরো একটি বজ্রমাতের প্রাণহানি ঘটেছে উপজেলায়। হাজড়াপুকুর গ্রামের ঝড়-বৃষ্টির সময় মাঠ থেকে ধান নিয়ে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে নিজামউদ্দিন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় হাবিবুর নামে আরো একজন আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানান ওসি।

অন্যদিকে একইদিন বিকেল ৩টার দিকে বাড়ির পাশে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে জহুরুল ইসলাম বাবু গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বজ্রপাতে মৃত্যুর এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর