chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

হঠাৎ বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরবাসীর ঈদ আনন্দ ম্লান

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামসহ সারাদেশে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়।

তবে চট্টগ্রাম নগরবাসীর জন্য ঈদ আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে মাত্র এক ঘন্টার বৃষ্টিতে। ম্লান হয়ে পড়েছে ঈদের আনন্দ।

শুক্রবার (১৪ মে) সকাল পৌনে ১০টায় শুরু হওয়া অঝোর ধারার বৃষ্টি বিরতিতে যায় এক ঘণ্টা পর।

হঠাৎ শুরু হওয়া বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েন সবাই। এ এক ঘন্টার মধ্যেই শহরের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে সৃষ্ট হয় জলাবদ্ধতা আর এ কারণেই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে নগরবাসী।

ঈদের আনন্দে শামিল হতে রাস্তায় আসা কিশোর-যুবক, বয়স্করা ভিজে একাকার হয়ে যান। জায়নামাজ মাথায় দিয়েও হয়নি শেষ রক্ষা।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সারাদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে।

চট্টগ্রামের প্রধান আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ ও পূর্বাভাস কর্মকর্তা উজ্জল কান্তি পাল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। মাঝ রাত থেকে চট্টগ্রামে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আমরা ফোরকাস্ট (পূর্বাভাস) দিয়েছি হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে চট্টগ্রামে। তবে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও নদীবন্দরে কোনও সতর্কতা সংকেত নেই।

এক ঘন্টার বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের অধিকাংশ নিম্নাঞ্চলের সড়ক ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে পানি মাড়িয়ে অতিরিক্ত রিকশা ভাড়া দিয়ে ঈদের দিন চলাচল করতে হয় চকবাজার, প্রবর্তক মোড়, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, বহদ্দারহাট, দুই নম্বর গেইট, খাতুনগঞ্জসহ অধিকাংশ নিম্নাঞ্চলের লোকজনকে।

বৃষ্টিতে আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর দুই নম্বর গেইট, চকবাজার, খাতুনগঞ্জসহ অনেক নিচু এলাকার নিচতলার বাসা-বাড়ি ও দোকানপাটে পানি ঢুকে গেছে।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর