chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

অপরিপক্ক আমে বাজার সয়লাব

নিজস্ব প্রতিবেদক : অপরিপক্ক আমে ছেয়ে গেছে ফলের বাজার। ফলের দোকান থেকে ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ ভ্যান সবখানে অপরিপক্ক ফলে বাজার সয়লাব। এসব ফল খেয়ে মানুষের স্বাস্থ্যের কোন উন্নতি তো হচ্ছেই না বরং আরো স্বাস্থ্য ঝূঁকি বাড়ছে বলে জানিয়েছে পুষ্টিবিদরা।

নগরীর জামালখানে ফল ক্রেতা ইমরান হাসান বলেন, কয়েক বছরতো শান্তি করে ফল খেলাম। গেল বছরগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সরব উপস্থিতি ছিল। গাছ থেকে আম নামানোর একটা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেটা এবার করা হয়নি। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে কিছু ব্যবসায়ী। রাষ্ট্র বা সরকার এদের রুখতে না পারলে ভবিষ্যত প্রজন্ম বিভীষিকা ছাড়া কিছুই দেখবে না।
আন্দরকিল্লায় আম বিক্রেতা হামিদুর রহমান বলেন, মানুষ এখন নতুন ফল পেলে হুমড়ি খেয়ে কিনছে। আমের চাহিদা বেড়েছে রমজানে। তাই লাভও হচ্ছে। পরিপক্ক কি অপরিপক্ক কে দেখছে। বিক্রি তো হচ্ছে।

নগরীর ফল মন্ডি ঘুরে দেখা যায়, অপরিপক্ক ফলের মধ্যে আম ছাড়াও এসেছে কাঁঠাল, লিচু এবং জামরুল। বোঝাই যাচ্ছে এসব ফল এখনো ঠিকমতো পাকেনি। লিচু পাকলে দেখতে টসটসে লাগে। সেখানে মনে হচ্ছে জোড় করে ছিঁড়ে আনা হয়েছে।

আড়তদার জানান, এর আগে সপ্তাহে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসতো। তখন অপরিপক্ক ফল-ফলাদি উঠতো না। এখন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান নেই। তাই আবার অপরিপক্ক ফল ওঠা শুরু হয়েছে। এ জন্য অভিযান নিয়মিত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ফলের বাজার ভালো ছিল। কোনো ব্লেইম ছিল না। এখন আবার ফল নিয়ে মানুষের মধ্যে অনিহা শুরু হয়েছে।

আম কিনে প্রতারিত হয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মাসুম নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, গত ৮ মে চকবাজার থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে আম কিনেছিলাম। বাসায় এনে ইফতারির আগে আম্মা কাটতে গিয়ে দেখে, আমে কোনো আটি নেই। এমনকি গন্ধও নেই। এটা যে আম নামক ফল তার কোনো কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না। কোনো কোনোটার বাইরে শক্ত, আবার কোনোটার ভেতরে কালো হয়ে গেছে।

আজ সোমবার (২ মে) নগরীর বিভিন্ন অলিগলি ঘুরে দেখা গেছে, ভ্যানে করে আম বিক্রি করা হচ্ছে। বিক্রেতাদের বেশির ভাগই নগরীর স্টেশন রোডের ফল মন্ডি থেকে এসব আম কিনে বিক্রি করছে। আড়তে এসব আম ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি কিনলেও অলিগলিতে তা ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে তারা।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিসি স্টাফ অফিসার উমর ফারুক চট্টলার খবরকে বলেন, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। ফলের বাজারে অভিযান হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি নজরে এনেছি। এখন থেকে ফলের বাজারের মনিটরিং করতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এসএএস/নচ

এই বিভাগের আরও খবর