জাতীয় ডেস্ক : মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত চলমান লকডাউনের সময়সীমা বেড়েছে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত। আর এ সময়ে পড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি।
সব সরকারি-বেসরকারি ও শিল্প-কারখানার কর্মীদের সরকার ঘোষিত তিন দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে তবে এ ছুটিতে কর্মীদের কর্মস্থলেই থাকতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
মঙ্গলবার (০৪ মে) সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এবার সরকারি-বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে ছুটি তিনদিনই থাকবে। আমাদের একদিন ছুটি দেয়ার পরিকল্পনা ছিল। যাতে কেউ কোথাও যেতে না পারে, ঢাকা না ছাড়তে পারে। কারণ ঢাকা হচ্ছে করোনার উচ্চ সংক্রমণশীল এলাকা। ঢাকা থেকে ৮০ শতাংশ সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের বিষয়টি আমাদের পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে। সে জন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। তাই পরিস্থিতি অনুযায়ী এখনও চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করার বিষয় আছে। আমরা বলছি, ঈদের সময় যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকবেন। লোকজন ছড়িয়ে গেলে করোনা ব্যাপকভাবে বেড়ে যেতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা থেকে বা ঢাকার আশেপাশে থেকে শ্রমিকরা যদি ঈদের সময় অন্য জায়গায় চলে যায়, তবে আরও সমস্যা সৃষ্টি হবে। সে জন্য আমরা চাচ্ছি সবাই কর্মস্থলেই থাকুক। তাই সরকারি-বেসরকারি সবক্ষেত্রে নির্দেশনা দেয়া আছে, ছুটি তিনদিনই থাকবে, কেউ এর বাইরে ছুটি দিতে পারবে না।’
এর আগে সোমবার (৩ মে) মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটি তিন দিন দেয়া হবে। এ তিন দিনের সঙ্গে কোনো প্রতিষ্ঠান নিজস্ব উদ্যোগে অতিরিক্ত ছুটি দিতে পারবে না। এ সিদ্ধান্ত সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
চখ/আর এস