আজকে সমস্ত জাতি জিম্মি হয়ে গেছে: ফখরুল
ডেস্ক নিউজ: সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তারা (সরকার) আজকে বিভিন্ন ইসলামিক সংগঠন, ছাত্র সংগঠনের ওপর আক্রমণ করে তাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করেছে, যারা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদেরকে গ্রেফতার করছে। আজকে সমস্ত জাতি জিম্মি হয়ে গেছে।’
আজ মঙ্গলবার (৪ মে) এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘আজকে পরিবহন শ্রমিকরা আন্দোলনে গেছে, যেতে বাধ্য হচ্ছে। কিন্তু তাদের জন্য কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। এই সরকার লকডাউন দিয়েছে কোনো ব্যবস্থা না করে এই খেটে খাওয়া মানুষের জন্য, দিন আনে দিন খায় মানুষের জন্য কিংবা শ্রমিকদের জন্য কোনো ব্যবস্থা না করে তারা এখানে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করছে লকডাউনের নামে ক্র্যাকডাউন করে।’
এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে শ্রমিক শ্রেণি ও তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান মির্জা ফখরুল।
‘এই অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে তরুণ-যুবক এবং শ্রমিক শ্রেণি। তাদের একতাবদ্ধ হতে হবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল মাওয়া ঘাট থেকে স্পিডবোটের যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, ২৭ জন নিহত হয়েছেন। সরকারের যে কোনো ব্যবস্থাপনা নেই এই দুর্ঘটনা তার একটা কারণ। স্পিডবোট চালু করেছে ঠিক আছে কিন্তু লোকসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই।’
ফখরুল বলেন, ‘আজকে সরকার লকডাউন দিয়েছে, কোথাও কোনো লকডাউন নেই। গণপরিবহন চালু করল যে আপনার আন্তঃজেলা পরিবহন হবে না, শুধুমাত্র জেলার মধ্যে থাকতে হবে।’
‘এগুলো থেকে বোঝা যায়, কতটা দায়িত্বহীন, কতটা অযোগ্য এবং রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে তারা (সরকার) শুধুমাত্র নিজেদের দুর্নীতির জন্য…। আজকে পাহাড় গড়ে তুলেছে আওয়ামী লীগের লোকেরা, পাহাড় গড়ে তুলেছে আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট আমলারা।’
‘শ্রমিকদের জন্য সরকারের প্রণোদনা নেই,’ অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘করোনার মধ্যে আজকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন আমাদের শ্রমিক ভাই-বোনেরা। করোনার যে প্রণোদনা সরকার ঘোষণা করেছে সেই প্রণোদনার মধ্যে কিন্তু শ্রমিকদের জন্য কোনো বরাদ্দ সেভাবে রাখা হয়নি, সুনির্দিষ্টভাবে কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি।’
‘যা কিছু প্রণোদনা দেয়া হয়েছে মালিক শ্রেণিকে দেয়া হয়েছে এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আওয়ামী লীগের যারা দোসর তারা নিজেরা নিয়ে চলে যাচ্ছে। আমরা বার বার বলেছি, তুলে ধরেছি যে, করোনাকালে যাদের বেশি প্রয়োজন যারা দিন আনে দিন খায়, যারা অপ্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরে কাজ করে, যারা ছোট-ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলোতে কাজ করে তাদেরকে সবেচেয়ে আগে সহযোগিতা করতে হবে। আমরা বলেছিলাম কমপক্ষে তিন মাসের এককালীন ১৫ হাজার টাকা অনুদান দিতে হবে। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি।’
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ৪২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়।
এমআই/চখ