chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

শ্রীলঙ্কায় পরাজয় চোখ রাঙাচ্ছে টাইগারদের

খেলা ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগারদের পরাজয়ের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশকে ফলোঅন করানোর সুযোগ থাকলেও তা না করে শেষ বিকেলে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে যায় দিমুথ করুনারত্নের দল।

তবে ১৫ রানের মধ্যে লঙ্কান দুই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠিয়েছে সফরকারিরা। তৃতীয় দিনশেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৭ রান। লিড ২৫৯ রানের।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই আঘাত হেনেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তার ঘূর্ণি ডেলিভারিতে এজ হয়ে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ হয়েছেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান লাহিরু থিরিমান্নে (২)।

পরের ওভারে আরেক স্পিনার তাইজুল ইসলামকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। প্রথম বলেই উইকেট, ওসাদা ফার্নান্ডোর (১) ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে। উৎসবে মাতে বাংলাদেশ শিবির।

তবে শেষ বিকেলে কিছুটা স্বস্তি পেলেও পাল্লেকেলে টেস্টে ব্যাকফুটেই আছে বাংলাদেশ। এর আগে ব্যাটসম্যানদের দায়সারা পারফরম্যান্সে ২৫১ রানেই অলআউট হয়ে যায় সফরকারিরা। অর্থাৎ প্রথম ইনিংসেই ২৪২ রান পেছনে পড়ে যায় মুমিনুল বাহিনী।

শ্রীলঙ্কার অভিষিক্ত প্রাভিন জয়াবিক্রমার ঘূর্ণিতেই বলতে গেলে শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। ৩২ ওভার বল করে ৯২ রান দিয়ে মোট ৬টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ২টি করে উইকেট নিলেন সুরাঙ্গা লাকমাল এবং রমেশ মেন্ডিস।

আজ ম্যাচের তৃতীয় দিন মাত্র ১৫ মিনিট ব্যাটিং করেই ইনিংস ঘোষণার সিদ্ধান্ত জানায় স্বাগতিকরা। তাসকিন আহমেদের বোলিংয়ে মুশফিকুর রহীমের দুর্দান্ত ক্যাচে আগের দিনের অবিচ্ছিন্ন জুটি ভাঙতেই ৪৯৩ রানে ব্যাটিং ছেড়ে দেয় শ্রীলঙ্কা।

জবাবে খেলতে নেমে শুরু থেকেই লঙ্কান বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন তামিম ইকবাল। তার সাবলীল ব্যাটিংয়ে সাহস পান প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া সাইফ হাসানও। দুজনের ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে ১৩ ওভারেই চলে আসে জুটির ৫০ রান।

রমেশ মেন্ডিসের করা ইনিংসের ১৫তম ওভারের প্রথম দুই বলে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৪৯ রানে পৌঁছে যান তামিম। সেই ওভারের পঞ্চম বলে ১ রান নিয়ে পূরণ করেন ক্যারিয়ারের ৩১তম হাফসেঞ্চুরি।

মনে হচ্ছিল উদ্বোধনী জুটি অবিচ্ছিন্ন থেকেই মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাবে বাংলাদেশ। কিন্তু বিধিবাম! বিরতির আগে দুই ওভারে সাজঘরের পথ ধরেন সাইফ ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

দিনের দ্বিতীয় সেশনে নতুন করে ইনিংস গড়ায় মনোযোগ দেন তামিম ও মুমিনুল। দুজন মিলে রান যেমন নিচ্ছিলেন নিয়মিত, তেমনি নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বারবার মনে ভয় ঢোকাচ্ছিলেন জয়াবিক্রম ও রমেশ। যার ফল তারা পেয়ে যায় ৪৪তম ওভারে। তামিমের বিদায়ে ভাঙে ৫২ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

আউট হওয়ার আগে ১২ চারের মারে ১৫০ বলে ৯২ রান করেছেন তিনি। অবশ্য এর আগে ব্যক্তিগত ৯১ ও ৯২ রানে শর্ট লেগের হাত থেকে জীবন পেয়েছিলেন তামিম। দুইবারই বোলার ছিলেন জয়াবিক্রম। শেষ পর্যন্ত তিনিই তুলে নিয়েছেন তামিমের উইকেট।

দলীয় ১৫২ রানে তামিমের বিদায়ের পর জুটি বাঁধেন মুমিনুল ও মুশফিক। দুজন মিলে যোগ করেন ৬২ রান। কিন্তু বিরতির আগের ওভারে জয়াবিক্রমের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে যান মুশফিক।

প্রথমে সেটিতে আউট দেননি আম্পায়ার। অনেকক্ষণ সময় নিয়ে সিদ্ধান্তটি রিভিউ করে শ্রীলঙ্কা। টিভি রিপ্লেতে জ্বলে ওঠে তিন লালবাতি, বিদায়ঘণ্টা বাজে ৪০ রান করা মুশফিকের, ভাঙে ৬২ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

লিটন দাস মাত্র ১১ বল উইকেটে টিকে ছিলেন। জয়াবিক্রমার বলে স্লিপে ক্যাচটা দিয়ে ফিরে গেলেন মাত্র ৮ রান করে। এরপর দ্রুত অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর