chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

লকডাউন’ থেকে বেরিয়ে আসতে ১০ সুপারিশ

জাতীয় ডেস্ক : করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশ ব্যাপি চলমান লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন অধিকাংশ সাধারন মানুষ। গরিব ও নিম্নবিত্ত মানুষের ভোগান্তি পৌঁছায় চরমে।

আর তাই সংক্রমণ রোধে লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার একটি কৌশল ঠিক করেছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি।

তবে লকডাউন তুলে নিলেও সংক্রমণ যাতে না বাড়ে সেদিকে নজর রাখার বিষয়ে জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিবিসি বাংলা খবরে বলা হয়, দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হিসেবে সরকারের কাছে ১০টি সুপারিশ করেছে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।

এসব সুপারিশগুলো হলো-

১. অবশ্যই মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক না পরলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা থাকতে হবে।

২. অফিসে উপস্থিতি অর্ধেক করতে হবে । অফিসগুলোতে ভার্চুয়াল মিটিংকে উৎসাহ দিতে হবে।

৩. গণপরিবহন যেন তাদের সক্ষমতার ৫০ ভাগ যাত্রী বহন করে। প্রাইভেট এবং তিনচাকার ট্যাক্সি একজন করে যাত্রী, তবে পরিবারের সদস্য হলে দুইজন বহন করতে পারবে।

৪. খাবারের দোকান, মুদি দোকান, মার্কেট এবং শপিং-মল দিনের লম্বা সময়ের জন্য খোলা রাখা। কাঁচাবাজার উন্মুক্ত জায়গায় পরিচালনা করতে হবে। রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া যাবে না।

৫. জনসমাবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মসজিদ, মন্দির এবং চার্চে যাতে ভিড় না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৬. যারা দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে জীবিকা নির্বাহ করেন তাদের কাজ চালিয়ে নেওয়া যাবে।

৭. কলকারখানার প্রবেশ মুখে শ্রমিকদের জন্য স্যানিটাইজেশন ব্যবস্থা ও ভেতরে মাস্ক পরে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হবে।

৮. যতদিন পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতি না হয় ততদিন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমকে উৎসাহ দিতে হবে।

৯. বিনোদন এবং পর্যটন কেন্দ্রগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত পর্যটন কেন্দ্র খোলা যাবে না।

১০. আইসোলেশন, কন্টাক্ট ট্রেসিং এবং কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে। টেস্ট করার সুবিধা বাড়াতে হবে। টেস্টিং সেন্টারগুলোতে যাতে ভিড় না হয় সেজন্য সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত : করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সারা দেশে সরকার ঘোষিত ‘লকডাউন’ চলছে। গত ৫ এপ্রিল থেকে এই ‘লকডাউন’ শুরু হলেও প্রথম এক সপ্তাহ একরকম ঢিলেঢালাভাবে তা চলে।

পরে ১৪ এপ্রিল থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় আরোপ করা হয় কঠোর বিধিনিষেধ। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী এই লকডাউন চলবে আগামী ৫ মে পর্যন্ত।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর