সিটি কর্পোরেশন গণমানুষের প্রতিষ্ঠান-মেয়র রেজাউল করিম
চট্টলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, কর্পোরেশনের সেবখাত গুলোকে আরো বেশী আধুনিকীকরন ও যুগোপযোগী করে তুলতে হবে।
নিরবিচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে এবং সেবার মান ও পরিধি বাড়ানোর মাধ্যমে নগর জীবনকে আরো স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতে হবে। এজন্য অনেক খরচের প্রয়োজন রয়েছে।
এসব খরচ মেটাতে কর্পোরেশনের আয়ের নিজস্ব খাতকে আরো সমৃদ্ধ করতে হবে। আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানামূখী প্রকল্প গ্রহন করতে চায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।
আয়বর্ধক প্রকল্প প্রণয়নের জন্য আজ ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে এফআইডিসি রোডে সাড়ে ১১ একর জায়গায় বাস্তবায়নাধীন শেখ কামাল আইসিটি পার্ক প্রকল্প কর্পোরেশনের আওতাধীন বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শন করেন চসিক মেয়র।
মেয়র বলেন, সিটি কর্পোরেশন গণমানুষের প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের গৃহিত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন হতে হবে সম্পূর্ণ গণমূখী।
নগরবাসীর সেবার খরচ মেটাতে কেবল মাত্র কর ও সরকারী বরাদ্দের উপর নির্ভরশীল না হয়ে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব আয়ের জন্য বেশ কিছু খাত সৃষ্টি করে প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।
প্রয়াত নেতা সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন সহ তৎপরবর্তী সকল মেয়র ও প্রশাসকের আমলে নেয়া গণমূখী সকল প্রকল্পসমূহকে কিভাবে আরো উন্নত করা যায় সে ব্যাপারে আমরা তৎপরতা চালাচ্ছি।
এসব খাত হতে প্রাপ্ত আয় দিয়েই তিনি অত্যন্ত সফলভাবে চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়ন ও সেবামান বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে তিনি জনস্বার্থ খর্ব হয় কিংবা জনজীবন বিঘ্নিত হয় এমন কোন প্রকল্প গ্রহণ করেননি।
কর্পোরেশনের আয় বাড়াতে নিকট অতীতে গৃহিত কিছু কিছু কাজ ও বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে অনিয়মের কথা বলা হচ্ছে। এসব বিষয় জনসাধারনের নিকট পরিস্কার হওয়া দরকার। এখানে আদৌ কোন অনিয়ম হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখতে নির্দিষ্ট কমিটি তদন্ত করে দেখবে।
কোন অভিযোগ যদি সত্য হয় তা উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন যেমন প্রয়োজন তেমনি যদি ভিত্তিহীন হয় সেটিও তদন্ত কমিটি পরিস্কার করবে। তাই, তদন্ত হলে কারো অখুশী হওয়ার কথা নয় বলে আমি মনে করি।
মেয়র আরো বলেন, আমি তাড়াহুড়ো বা যেনতেনভাবে লোক দেখানো উন্নয়ন চাই না, আমি পরিকল্পিত ও টেকসই উন্নয়ন চাই। যার উপযোগীতা, গ্রহনযোগ্যতা ও কার্যকারিতা হবে দীর্ঘস্থায়ী এবং এর প্রভাব হবে সুদূর প্রসারী।
প্রকল্পস্থানসমূহ পরিদর্শনকালে মেয়রের সাথে ছিলেন, প্যানেল মেয়র মো. গিয়াসউদ্দীন, কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম, হাজী নুরুল হক সওদাগর, ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী জিসু, এস্টেট অফিসার মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, শাহীন-উল-ইসলাম, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
চখ/আর এস