chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ভারতে তীব্র মাত্রায় রূপ নিয়েছে অক্সিজেন সংকট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের রাজধানী দিল্লির পাশাপাশি মহারাষ্ট্র, গুজরাট, মধ্য প্রদেশ ও উত্তর প্রদেশেও অব্যাহত রয়েছে অক্সিজেন সংকট।

চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন করলেও, বেশকিছু কারণে অক্সিজেনের যোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। অক্সিজেন প্ল্যান্টের অবস্থান, সঠিকভাবে বণ্টন না হওয়া এবং আগে থেকে পরিকল্পনা না নেয়ায় অক্সিজেন পৌঁছাচ্ছে না হাসপাতালে। ফলে মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘায়িত হচ্ছে।

গত বছর করোনা মহামারির ক্রান্তিকালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মেডিক্যাল অক্সিজেন রপ্তানি করেছে ভারত।  সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত থেকে প্রায় ৯ হাজার মেট্রিক টন অক্সিজেন রপ্তানি করা হয়েছে। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের অভাবে ধুকে মরছেন সেই ভারতের নাগরিকরাই।

ভারতের এ মুহূর্তে প্রতিদিন প্রয়োজন ৬ হাজার মেট্রিক টনের বেশি অক্সিজেন। আর প্রতিদিন উৎপাদিত হচ্ছে ৭ হাজার মেট্রিক টন। যা বর্তমান চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট। তবেও নানা কারণে অক্সিজেনের বর্তমান সরবরাহ চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ।

অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দিয়েছে মূলত পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে। এদের কোন কোন রাজ্যে চাহিদার চেয়ে কম অক্সিজেন উৎপাদিত হয়। আর দিল্লি, মধ্য প্রদেশের মত রাজ্যগুলোতে নেই কোন অক্সিজেন প্ল্যান্ট। প্রয়োজনের অতিরিক্ত উৎপাদন করায় ওড়িশা, ঝাড়খন্ডসহ পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো থেকে ট্যাঙ্কারে করে অক্সিজেন বহন করা হচ্ছে।

এদিকে, দূর দূরান্ত থেকে অক্সিজেন পাঠানো হলেও স্থানীয় কর্মকর্তারা অক্সিজেন বহনকারী ট্যাঙ্কারগুলো আটকে দিচ্ছেন। একারণেই বরাদ্দ ৩৭৮ টনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৭৭ টন অক্সিজেন পেয়েছে দিল্লি। এছাড়া মেডিক্যাল অক্সিজেন বহনকারী ট্যাঙ্কারের সংখ্যাও সীমিত।

অক্সিজেন সংকটের জন্য দায়ী করা হচ্ছে রাজ্য সরকারগুলোর পরিকল্পনার অভাবকে। এপ্রিল মাসের শুরুর দিকেও মাত্র ৩ হাজার ৮শ টন অক্সিজেনের চাহিদা ছিল ভারতে। কিন্তু উর্ধ্বগামী সংক্রমণের মধ্যেও দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার কোন প্রস্তুতি নেয়া হয়নি। যেকারণে এখন হিমশিম খাচ্ছে দিল্লিসহ বিভিন্ন রাজ্যের সরকার।

চখ

এই বিভাগের আরও খবর