chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চসিকের ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদে গঠিত হয়েছে ১৯ স্থায়ী কমিটি

চট্টগ্রাম ডেস্ক : বন্দর ভিত্তিক চট্টগ্রাম সমৃদ্ধ না হলে বাংলাদেশ এগুবেনা। এ বাস্তবতাকে সামনে রেখে চট্টগ্রামকে একটি আর্ন্তজাতিক মানে নগরীতে রূপান্তর করতে চাই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী

এ ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের যে সম্পদ আছে তা ব্যবহার এবং খালি জায়গাগুলোকে আয়বর্দ্ধক প্রকল্প গ্রহণ করে কারো মুখাপেক্ষী না হয়ে একটি সাবলম্বী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চান তিনি।

সে লক্ষ নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত ৬ষ্ঠ পরিষদের ১৯টি স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়াই সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত গ্রহন করা হয়েছে।

সুতরাং দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিয়ে একটি পরিবার হিসেবে পরিষদের মেয়াদকালীন সময়ের মধ্যে আধুনিক নগর সাজাতে চাই।

আজ রবিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টায় জুম ক্লাউড মিটিং অ্যাপের মাধ্যমে চসিক ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের তৃতীয় সাধারণ সভায় এসব কমিটি গঠন করে দেন মেয়র।

এক নজরে দেখে নিন চসিকে নব গঠিত ১৯ কমিটিতে কারা স্থান পেয়েছে :

অর্থ ও সংস্থাপন কমিটিতে মো. ইসমাইল। শিক্ষায় নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু। স্বাস্থ্য- জহর লাল হাজারী, বর্জ্য- মো. মোবারক আলী, নগর পরিকল্পনা মো. ওয়াসিম উদ্দীন চৌধুরী, নগর অবকাঠামো নির্মাণ- গাজী মো. শফিউল আজিম।

পরিচালনা ও রক্ষণা-বেক্ষণ আবুল হাসনাত মো. বেলাল, ক্রীড়াতে আতাউল্লাহ চৌধুরী, পরিবেশে শৈবাল দাশ সুমন, আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটিতে নাজমুল হক ডিউক, যোগাযোগে আব্দুল বারেক, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধণ মো. ইলিয়াস, হিসাব ও নিরীক্ষা কাজী নুরুল আমিন, সমাজ কল্যাণ ও কমিউনিটি সেন্টার আবদুস সালাম মাসুম।

বাজারমূল্য, মো. আব্দুল মান্নান, দুযোর্গ ব্যবস্থাপনায় জহুরুল আলম জসিম, দরিদ্র হ্রাসকরণ, মো. সলিমউল্লাহ, পানি ও বিদ্যুৎ মো. মোর্শেদ আলম, নারী ও শিশু বিষয়ক জেসমিন পারভীন জেসি।

সাধারণ সভা পরিচালনা করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক (যুগ্ম সচিব)। বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেয়র মো. রেজাউল করিম বলেন, নগরীর ভাল-মন্দ সব কাজের দায়িত্ব বর্তায় জনপ্রতিনিধিদের উপর। সেক্ষেত্রে নগরীতে সরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো যে কাজই করুক না কেন তা অবশ্যই সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে অবগত করতে হবে। এ অবগত করা মানে হচ্ছে পারস্পরিক সমন্বয়সাধন।

তিনি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানের কথা পূনঃউল্লেখ করে বলেন, চসিকের ভূ-সম্পত্তিগুলোতে যারা অবৈধভাবে দখল করে আছেন তাদেরকে তিল পরিমাণও ছাড় দেয়া হবে না। এক্ষেত্রে যিনি যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন এখানে আপোষের কোন প্রশ্নই আসে না। উচ্ছেদকৃত জায়গাসমূহ যাতে পূনঃ দখল না হয় সে জন্য একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে।

তিনি পবিত্র রমজান মাসে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করে নগরবাসীর দুর্ভোগ ও ভোগান্তি লাঘবের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি নগরবাসীকে আশ্বস্থ করেন যে, করোনাকালের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জনস্বাস্থ্য নিরপত্তা সুরক্ষায় সিটি কর্পোরেশন জরুরী সেবা কার্যক্রম সার্বক্ষণিক চলমান রাখবে।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর