chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

জামিন বহাল ইরফান সেলিমের, বাঁধা নেই মুক্তিতে

ডেস্ক নিউজ : রাজধানীর ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধরের মামলায় সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে ইরফান সেলিমের কারামুক্তিতে বাঁধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রবিবার (২৫) রাষ্ট্রপক্ষের জামিন বাতিলের আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে ইরফান সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ এবং মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ আজ শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন।

গত ২৮ মার্চ হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। পরে জামিনের ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার (স্টে ভ্যাকেট) চেয়ে আবেদন করেন ইরফান সেলিম। সেটিও শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান চেম্বার আদালত।

আদালতে ইফরান সেলিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।

এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধরের ঘটনায় ইরফান সেলিমকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ২৬ অক্টোবর ভুক্তভোগী নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ নিজেই বাদী হয়ে ‘মারধর ও হত্যা চেষ্টার’ অভিযোগে ইরফান সেলিমসহ চার জনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন।

জানা যায়, গত বছরের ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রসিংয়ে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল ‘সংসদ সদস্য’ স্টিকার লাগানো হাজী সেলিমের গাড়ি। এরপর ওয়াসিফ মোটরসাইকেল থামান এবং নিজের পরিচয় দেন। এ সময় হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে দুই জন ব্যক্তি নেমে এসে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফকে মারধর করে। একপর্যায়ে ওয়াসিফ আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। তখন ঘটনাস্থলে লোকজন জমে গেলে সংসদ সদস্যের গাড়ি ফেলে মারধরকারীরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

এরপর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা মামলায় ইরফান সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন ইরফান সেলিম।

ইনি/এএমএস/চখ

এই বিভাগের আরও খবর