চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস আক্রান্তের মধ্যেও আতঙ্কের কিছু নেই। আমাদের সচেতনতা দরকার। এ সচেতনতা থেকেই আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতার ভিত্তি সুচিত হবে।
শুক্রবার (২০ মার্চ) ১৭, ১৮ ও ১৯ নং ওয়ার্ডে ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময়কালে এসব ওয়ার্ডের মুরব্বী, মা-ভাই বোনদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ নিয়ে বিভ্রান্ত হবার কোন অবকাশ নেই। যারা বলছে এ রকম একটি অবস্থায় নির্বাচন হতে হতে পারে না, এর মধ্যেও আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক দূর্যোগ, সামাজিক দূর্যোগসহ অনেক কিছু মানবিক প্রতিকূলতার মধ্যেও রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ অব্যাহত রয়েছে। তার বড় প্রমাণ ৭০ এর নির্বাচন, তখন প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষের প্রাণ বিসর্জেনর পরও নির্ধারিত তারিখে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছিল। সে সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিজয়ী করে বাংলার স্বাধীনতার ভিত্তি সৃষ্টি হয়েছিল। তাই বলি নির্বাচন যখনই হোক, নৌকা মাঠে থাকবে। তবে বড় কথা হলো, যারা নির্বাচন পিছাতে চান, তাদের একটি অন্য রকম উদ্দেশ্য আছে। সেটা হলো নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই তারা নির্বাচন পিছানোর দাবি করছে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয় পরাজয় নিয়ে সরকার পরিবর্তনের কোন সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এ সরকার করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছেন, তা সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত। তাই কোন আতঙ্ক সৃষ্টির অবকাশ নেই। সরকার যা যা করার তা করেছেন । জীবন যাত্রা স্বাভাবিক রাখতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠা চালাতে হবে। তবে লক্ষনীয় ব্যাপার হলো যে করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে কয়েকটি সুবিধাবাদী মহল ও সিন্ডিকেট মুনাফা লাভের চেষ্ঠা করছে। তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসাবে আমাদের নেতাকর্মীদের রুখে দাড়ানোর আহবান জানাচ্ছি।
এসময় অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক আবদুল আহাদ, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাউন্সিলর প্রার্থী মো. শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য আহমদ ইলিয়াস, বাকলিয়া থানার আহ্বায়ক হাজ্বী শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক হাজ্বী সিদ্দিক আলম, জামশেদুল আলম, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুবুল হক চৌধুরী এটলী, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের হাজ্বী ইউনুছ কোম্পানী, মো. আলী নেওয়াজ, মোহাম্মদ মুছা, আকবর আলী আকাশ, মো. হারুন উর রশিদ, হাজ্বী নুরুল আজিম নুরু, ইফতেখার আলম জাহেদ প্রমুখ।