‘রেড জোন’ নয় ‘উচ্চ সংক্রমণ এলাকা’
নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরীর চকবাজার থানার চমেক হাসপাতাল স্টাফ কোয়ার্টার, ১ নং জয়নগর আবাসিক এলাকা, পাহাড়তলী সরাইপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ‘রেড জোন’ ব্যানার নামিয়ে ‘উচ্চ সংক্রমণশীল এলাকা’র ব্যানার টাঙিয়েছে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগ কিংবা জেলা প্রশাসন কিছুই জানে না।
রবিবার (১৯ এপ্রিল) রেড জোন ঘোষণার পর সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক, উদ্বেগ দেখা যায়। সেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে নগরবাসীর মধ্যেও। সন্ধ্যায় পুলিশ নিজ উদ্যোগে রেড জোনের ব্যানার খুলে নিয়ে নতুন ব্যানার টাঙায়। এতে পুলিশ, স্বাস্থ্যবিভাগ, প্রশাসন বা কোভিড প্রতিরোধ কমিটির সমন্বয়হীনতা যেমন স্পষ্ট হয়, তেমনি মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এসব এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চকবাজার থানার একজন কর্মকর্তা জানিয়েছে, সিএমপি কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা প্রথমে ‘রেড জোন’ লেখা ব্যানার টাঙিয়েছিলাম। পরে তা খুলে নিয়ে ‘উচ্চ সংক্রমণশীল এলাকা’ লেখা ব্যানার টাঙিয়েছি। আমাদের মূল লক্ষ্য মহামারি করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধ, মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং লকডাউন সফল করতে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ব্যানারগুলো থানার অধীনেই ছাপানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর জানান, রেড জোনের ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে কোনো নির্দেশনা নেই। সোমবার নগরীর কয়েকটি এলাকায় রেড জোন ঘোষণা করার বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলাপ করেছি তিনিও বিষয়টি জানেন না।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১ হাজার ৫৫৬টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৪৭ জনের। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নগরীর ২৬৩ জন এবং উপজেলার ৮৪ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত ৪৭ হাজার ৫৭৪ জন। এ দিন করোনায় ৮ জন মারা গেছেন।
এসএএস/এএমএস/চখ