chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

যেসব এলাকায় সংক্রমণের মাত্রা বেশি সেখানে পূর্ণ লকডাউন চান সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক : শহরে কিংবা গ্রামে যেসব এলাকায় সংক্রমণের মাত্রা বেশি সেসব এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করে পূর্ণ লকডাউন ঘোষনা করার আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন

তবে লকডাউন ঘোষণার আগে ঐসব এলাকার জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করার সুযোগ করে দিয়ে মানবিক বিপর্যয় রোধ করারও আহ্বান জানান তিনি।

আজ রবিবার (১৮ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি এ আহ্বান জানান। এছাড়া লকডাউনকৃত এলাকার হতদরিদ্রদের সরকার প্রদত্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করারও আহবান জানান তিনি।

এভাবে লকডাউন ব্যবস্থা পরিচালিত করলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জীবন ও জীবিকা সমুন্নত রেখে করোনা সংক্রমণও কমিয়ে আনা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন সুজন।

ঈদে অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে মার্কেট-শপিংমল খুলে দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে গণমাধ্যমে প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে সুজন বলেন, রমজানের ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার বেচাকেনা হয়। গতবছরও করোনা সংক্রমণের কারণে দোকানগুলোতে অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেকাংশে কম লেনদেন হয়েছে।

সাধারণত রোজার ঈদে যেরকম ব্যবসা বাণিজ্য হয় সেটা গতবছর হয়নি। তারপরও সরকারের নানামূখী উদ্যোগের ফলে ব্যবসায়িরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিল।

তাই ঈদ অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে ১৫ রমজানের পর সপ্তাহে অন্তত তিনদিন সকাল ও রাতে উভয় শিফটে মার্কেট এবং শপিংমলগুলো সরকারি স্বাস্থবিধি মেনে খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

তবে একই এলাকায় পাশাপাশি দুটি মার্কেট কিংবা শপিংমল একসাথে খোলা রাখা যাবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

শপিংমল ও মার্কেট খোলা রাখার বিষয়ে ক্রেতাদেরও সচেতন থেকে দলবেঁধে মার্কেটে না আসার কথা বলে বেশ কিছু নির্দেশনার কথাও বলেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

এরমধ্যে শপিংমলগুলোকে এলাকাভিত্তিক এবং সকাল বিকাল শিফটিং করে খোলা রাখা। প্রতিটি পরিবার থেকে একজন মার্কেট কিংবা শপিংমলে আসা। কোন অজুহাত না তুলে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের অবশ্যই মাস্ক পরিধান করার কথা তিনি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে আগে বেঁচে থাকতে হবে। বেঁচে না থাকলে ঈদের কাপড় দিয়ে কাফন পড়ানো যাবে না। এভাবে লকডাউন করলে জীবন ও জীবিকা চলবে এবং সংক্রমণও রোধ করা যাবে।

অন্যদিকে গণপরিবহন কিংবা যে সমস্ত ইন্ডাষ্ট্রিয়াল পরিবহন কর্মী এবং শ্রমিকদের আনা নেওয়া করছে তারা বেশীরভাগই সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মানছে না বলে জানিয়েছে সুজন।

তিনি বলেন মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও নেই এসব পরিবহণে। এছাড়া এক সিট খালি রেখে যাত্রী পরিবহনের কথা বলা হলেও প্রায় পরিবহনেই দুই সিটে যাত্রীসহ গাদাগাদি করে যাত্রী আনা নেওয়া করছে।

এতে করে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে যা বলার অপেক্ষা রাখে না। গণপরিবহনকে যে কোন মূল্যে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে নচেৎ সংত্রমণের মাত্রা বাড়তেই থাকবে।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর