নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র রমজান মাসে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিকট উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
তাছাড়া লকডাউনকালীন সময়ে দর্শকগণ যাতে সুস্থ বিনোদন উপভোগ করতে পারে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দানের জন্য সংশ্লিষ্টদের আহবান জানান সুজন।
আজ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকালে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড এর এমডি, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বিতরণ দক্ষিণাঞ্চল এর প্রধান প্রকৌশলী, ওয়াসা’র এমডি’ ও বাংলাদেশ টেলিভিশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নিতাই কুমার ভট্টাচার্যের সাথে ফোনে কথা বলে তিনি এ আহবান জানান।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, সরকার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে। আর লকডাউনকে সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করতে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে সরকার।
অন্যদিকে রমজান মাসও সমাগত। এ মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করে। তাই এ সময়ে নগরবাসীর দৈনন্দিন ব্যবহার্য গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ সুনিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন।
নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা সুজন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড এর এমডি প্রভঞ্জন বিশ্বাস এর সাথে ফোনে কথা বলেন।
তিনি নগরীর যে সব এলাকায় গ্যাসের চাপ অপর্যাপ্ত রয়েছে সে সব এলাকায় বিশেষ নজর দানের মাধ্যমে গ্যাসের চাপ বৃদ্ধি করে নগরবাসীর গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের এমডি’র আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পরবর্তীতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বিতরণ দক্ষিণাঞ্চল এর প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান সামিনা বানু’র সাথে ফোনে কথা বলেন তিনি। লোডশেডিং এবং ট্রিপ ডাউনের নামে নগরবাসীর যেন কোন ধরনের ভোগান্তি না হয় সেদিকে দৃষ্ঠি দানের অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ নগরবাসীর জীবনযাত্রার সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তাই বিদ্যুতের সরবরাহ সুনিশ্চিতের উপর নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা জড়িত।
বর্তমান লকডাউনকালীন সময়ে বাড়িতে বসে বিদ্যুৎ বিল প্রদান এবং প্রি-পেইড মিটারের কার্ড রিচার্জের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইমারজেন্সি ব্যালেন্স রাখার জন্যও কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানান তিনি।
এরপর ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ’র সাথেও ফোনে কথা বলেন সুজন। তিনি ওয়াসার এমডিকে বলেন সরকার লকডাউন ঘোষণার মাধ্যমে জনগণকে ঘরে থাকার নির্দেশনা প্রদান করেছে। এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে ওয়াসার সহযোগিতাও একান্ত জরুরি।
তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে বিপুল সংখ্যক নগরবাসী লকডাউনের সময় বাসা বাড়িতে অবস্থান করবে। তাই এ সময় পানির স্বাভাবিক চাহিদা আগের তুলনায় অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে যে কোন মূল্যে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ওয়াসার এমডি’র নিকট আহবান জানান তিনি।
এছাড়া যে সকল এলাকায় পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে সে সকল এলাকায় ভাউচারের মাধ্যমে নিয়মিত পানি সরবরাহ প্রদানেরও অনুরোধ জানান। সেবা সংস্থার প্রধানরা সুজনের বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করেন।
তারা আশ্বাস প্রদান করেন যে লকডাউন এবং রমজানকে কেন্দ্র করে নগরবাসীর কোন প্রকার ভোগান্তি হবে না। এরপরও নগরবাসীর যে কোন প্রয়োজনে সেবা সংস্থার প্রধানদের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান তারা।
সবশেষে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নিতাই কুমার ভট্টাচার্যের সাথেও ফোনে কথা বলেন। তিনি বলেন লকডাউনকালীন সময়ে দর্শকদের মানসিক বিনোদন একান্ত প্রয়োজন।
তাছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্র বর্তমানে নিত্য নতুন অনুষ্টানমালার মাধ্যমে দর্শকদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তাই বিশেষ করে প্রয়োজনে পুরানো দিনের দর্শক নন্দিত নাটকগুলোও পুনঃপ্রচার করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার দর্শকদের বিনোদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
আরএস/এমআই