chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

মাস্ক না পরলে ৭ দিন স্বেচ্ছাশ্রম দেয়ার আহ্বান সুজনের

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্ব সংক্রমণকালীন সময়ে নগরবাসীকে মার্কেটিংয়ের নামে কাফনের কাপড়ের সংকট সৃষ্টি হয় এ রকম পরিস্থিতি তৈরি না করার অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

আজ রবিবার (১১ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় উত্তর কাট্টলীস্থ তাঁর নিজ বাসভবনে নাগরিক উদ্যোগের জরুরি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ জানান।

এসময় নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যু হার বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই আক্রান্ত এবং মৃত্যুর রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে।

সরকার কঠোর নির্দেশনা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী লকডাউন ও রমজানকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মার্কেট এবং বিপনী কেন্দ্রসমূহে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গিয়েছে।

বেশিরভাগ ক্রেতা বিক্রেতা স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই কেনাকাটা চালিয়ে যাচ্ছে। যেখানে গবেষকগণ বলছেন শুধুমাত্র মাস্ক ব্যবহার করেই ৭০ শতাংশ সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব। সেখানে মাস্ক পরিধান করতেই যেন সকলের অনীহা।

তাই যারা মাস্ক ছাড়া বাহির হবেন তাদের কাছ থেকে কমপক্ষে দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক সপ্তাহ করোনা হাসপাতালে স্বেচ্ছা শ্রমের শাস্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের নিকট তিনি আহবান জানান।

তিনি বলেন, আসন্ন লকডাউন ও রমজানকে মাথায় রেখে দ্রব্যমূল্য সিন্ডিকেটগণ পুরানো খেলায় মেতে উঠেছে এমন তথ্যও আমরা পাচ্ছি। দৈনন্দিন জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে তারা জনগনকে এক প্রকার জিম্মি করে ফেলেছে। তাই জনসাধারণকে চারদিনের বেশি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ক্রয় না করারও উদাত্ত আহবান জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, আমরা গতবছরও দেখতে পেয়েছি করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীসমূহ বাজার থেকে উধাও হয়ে যায়। অন্যদিকে ভেজাল নিম্নমানের সুরক্ষা সামগ্রীতে বাজার সয়লাব হয়ে যায়।

এবারও দেখা যাচ্ছে বাজারে প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রীর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে এক শ্রেণীর ঔষধ কোম্পানীগুলো। ফলত ক্রেতা সাধারণ প্রতারিত হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রানের জন্য নিয়মিত ঔষধের মার্কেটসমূহে অভিযান পরিচালনা করার আহবান জানান তিনি।

তিনি বিক্রেতা ও ক্রেতা সাধারণকে সচেতন করতে আগামী দুইদিন চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজারে গণসচেতনতামূলক প্রচারণা কর্মসূচী চালানোর ঘোষণা দেন।

সভায় নেতৃবৃন্দ সম্প্রতি মন্ত্রী পরিষদের সভায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১% অর্থ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে প্রদান করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে চট্টগ্রামের জনগনের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ মহানুভবতা চট্টগ্রামের জনগন আজীবন কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে।

নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আব্দুর রহমান মিয়া, মোরশেদ আলম, মো. শাহজাহান, শিশির কান্তি বল, অনির্বান দাশ বাবু, সমীর মহাজন লিটন, মো. জাহাঙ্গীর, মো. আলাউদ্দিন, মো. ওয়াসিম, মাহফুজ চৌধুরী, আশ্রাফ উদ্দিন হাসনাত, মো. জোবায়ের প্রমুখ।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর