নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, গতবছর করোনা শুরুর আগে আমরা চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালকে যেভাবে দেখেছিলাম এক বছর পর এসে তার যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে। আর তা সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায়।
তিনি বলেন, করোনার শুরুর আগে যেখানে এই হাসপাতালে একটি আইসিইউও ছিল না সেখানে আজ ১৮টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। এখন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি বিশেষায়িত কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়েছে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান নওফেল।
আজ বৃহস্পতিবার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নবসংযুক্ত ৮ টি আইসিইউ শয্যার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা সাথে জড়িতরা সার্বক্ষণিক রোগীদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন উল্লেখ করে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, অনেক হাসপাতালে চিকিৎসক-নার্সের সংকট থাকলেও এই হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার সাথে জড়িতদের উপস্থিতি আমি দেখেছি।
তিনি বলেন, আমি এ হাসপাতালে কখনো বলে এসেছি আবার অনেক সময় না বলেও এসেছি কিন্তু যখনই এসেছি হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার সাথে জড়িত সকলকেই পেয়েছি। এজন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শিক্ষা উপমন্ত্রী আরো বলেন, গত ১ বছর আগে করোনার প্রকোপ যখন শুরু হয়েছিল তখন স্বাস্থ্য সেবার যে সংকট ছিল তা অনেকটা কেটে গেছে। এখন প্রায় সকল বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি করা হচ্ছে।
প্রথম দিকে তেমন কোন ধারণা না থাকলেও আমাদের চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্য সেবার সাথে জড়িত সকলে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার বিষয়ে এখন বেশ অভিজ্ঞ।
এরপরও করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকতে হলে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং মাস্ক ব্যবহারে কোন বিকল্প নেই বলে তিনি জানান।
বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সেলিম আকতার চৌধুরী, মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ আব্দুর রফ, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ আসিফ খান, ফিল্ড হাসপাতালের উদ্যোক্তা ডাঃ বিদুৎ বড়ুয়া, আইসিইউ ইনচার্জ ডাঃ রাজদীপ বিশ্বাস।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ৩২নং আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত প্রমুখ।
আরএস/এমআই