chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে

দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সভায় মাহবুবের রহমান শামীম

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, ইভিএম দিয়ে নতুন কৌশল উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে সরকার ঢাকা সিটি করপোরেশনে তাদের ইচ্ছা মত ফলাফল প্রকাশ করেছে। ইভিএমের উপর জনগণের কখনো আস্থা ছিল না, কারণ ইভিএম হল ভোট ডাকাতির কৌশল। ক্রুটিপূর্ণ ইভিএম মেশিনের কারণে অনেক ভোটার ভোট দিতে পারেনি। ফলাফল ঘোষণা সন্ধ্যার সময় একদম বন্ধ করে দিয়ে নিজেদের মত হিসাব মিলিয়ে মিডিয়া কারচুপির মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করেছে। তাই এ বানোয়াট নির্বাচনের ফলাফল কোনমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে। এ অপরাধে কমিশনকে জনগণের আদালতে দাড়াতে হবে।

তিনি আজ ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে নগরীর দোস্তবিল্ডিংস্থ দলীয় কার্য্যলয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি এখন গণতন্ত্র সচেতন। তারা গণতন্ত্রের জন্য অতীতে লড়াই করে রক্ত দিয়েছে। কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার দেশের গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধংস করে দিয়েছে। যার কারণে মানুষ এখন নির্বাচন ও গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাহীনতায় ভুগছে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতিই সেটা প্রমাণ করেছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে আগের রাতে ভোট ডাকাতি করে আওয়ামীলীগ একটি অবৈধ দখলদার সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। শনিবার ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ইভিএমের মাধ্যমে ভোট ডাকাতির আরেকটা মহড়া দিল। এতে প্রমাণ হয় এ সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং রাষ্ট্রযন্ত্রগুলোর মধ্যে আর কোন পার্থক্য নেই। এটা পুরোপুরি একটা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে গেছে।

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে সরকার তাদের ক্যাডার বাহিনী ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভোট কেন্দ্র দখল করেছিল। একইভাবে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনেও ভোট কেন্দ্র দখল, জালিয়াতি, ভোটারদের ভয়ভীতি ও গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলা করে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে।

তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে কমিটি গঠন করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জেলার আওতাধীন বোয়ালখালীর সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনের কারণে তিন মাসের ভিতর কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার কাজ সেভাবে করা যায়নি। আজকের সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী কিছু দিনের মধ্যেই জেলার আওতাধীন থানা, উপজেলা ও পৌরসভার কমিটি গঠন করা হবে। সকলকে ভেদাভেদ ভুলে বিএনপিকে শক্তিশালী করার জন্য এক সাথে কাজ করার আহবান জানান তিনি।

দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ খানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, সদস্য অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দীন, এনামুল হক এনাম, ইদ্রিস মিয়া, এডভোকেট ইফতেখার হোসেন মহসীন, মোশাররফ হোসেন, নুরুল আনোয়ার, এডভোকেট এস এম ফোরকান, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, বদরুল খায়ের চৌধুরী, এহসান এ খান, এম মনজুর উদ্দীন চৌধুরী, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী টিপু, লিয়াকত আলী চেয়ারম্যান, এডভোকেট নুরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, হাজী আবুল কালাম আবু, সিরাজুল ইসলাম সওদাগর, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, এডভোকেট ফৌজুল আমীন, খোরশেদ আলম, জামাল হোসেন, মফজল আহমদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম সওদাগর, মেজবাহ উদ্দীন চৌধুরী জাহেদ, হুমায়ুন কবির চৌধুরী আনসার, লায়ন হেলাল উদ্দীন, আমিনুর রহমান চৌধুরী, হাজ¦ী মো. রফিক, হামিদুল হক মন্নান চেয়ারম্যান, নবাব মিয়া, এহসান মওলা, মোকতার আহমদ, নুরুল কবির, মইনুল আলম ছোটন, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, জিয়াউদ্দীন চৌধুরী আশফাক, মোস্তাফিজুর রহমান, এডভোকেট কাশেম চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন, জসিম উদ্দীন, এস এম সলিম উদ্দীন চৌধুরী খোকন, চন্দ্র গুপ্ত বড়–য়া, নিলুফার ইয়াসমীন প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর